Google Alert – সেনাবাহিনী
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে চীনের তৈরি জেড-১০এমই আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার। এতে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়া ভারতের। এমনটাই মন্তব্য করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
গত শনিবার পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) দপ্তর জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী “সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিক্রিয়া” জোরদারের জন্য তাদের বহরে জেড-১০এমই আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার যুক্ত করেছে।
আইএসপিআর থেকে আরও জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক চীনা জেড-১০এমই অ্যাটাক হেলিকপ্টার উন্নত রাডার সিস্টেম এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট দিয়ে সজ্জিত। এটি সব ধরনের আবহাওয়ায় দিনরাত যেকোনো সময় নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম। বিভিন্ন ধরনের আকাশ এবং স্থল হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, চীনের বিমান পরিবহন শিল্প কর্পোরেশন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুর এয়ারশোতে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে তাদের তৈরি জেড-১০ আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার প্রদর্শন করে। তখন পর্যন্ত মডেলটির একমাত্র পরিচিত রপ্তানি গ্রাহক ছিল পাকিস্তান। তবে সেই এয়ার শোতে বিক্রয়ের কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (সিওএএস) ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির হেলিকপ্টারের অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পরে তিনি মুজাফফরগড় ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে নতুন অ্যাটাক হেলিকপ্টারটির একটি অগ্নিশক্তি প্রদর্শন প্রত্যক্ষ করেন। তবে চীনের কাছ থেকে এই ধরনের কতগুলো হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে তার সংখ্যা জানানো হয়নি।
এদিকে, পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া অ্যাফেয়ার্স উইং জানিয়েছে, এই শক্তিশালী সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি আর্মি এভিয়েশনের আধুনিকীকরণে একটি বড় অগ্রগতি। এটি সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতাকে জোরদার করবে।
মুজাফফরগড় ফায়ারিং রেঞ্জে সৈন্যদের সাথে আলাপচারিতার সময় পাক সেনাপ্রধান মুনির তাদের ব্যতিক্রমী মনোবল, পেশাদারিত্ব এবং যুদ্ধ দক্ষতার প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চীনের তৈরি পাকিস্তানের জে-১০ যুদ্ধবিমান কয়েকটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিল। ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরে সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকে হতবাক হয়েছিলেন। রাফাল ভূপাতিত হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষিত নয়, চীনের এমন সামরিক সরঞ্জামের বিপরীতে পশ্চিমা সামরিক সরঞ্জামের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভূপাতিত হওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাফাল নির্মাতা ফরাসি কোম্পানি দাসো এভিয়েশনের শেয়ারমূল্য কমে গিয়েছিল। রাফাল কেনার জন্য ক্রয়াদেশ দেওয়া ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তারা এখন চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার কথা বিবেচনা করছে।