Bangla Tribune
রবিবার কাম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল। এই চুক্তিতে স্বাক্ষরের আগেই কুয়ালালামপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। শনিবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে, সেটি একটি ‘ঘোষণা’ পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি নয়। তবে এই ঘোষণার মাধ্যমে দুই দেশ তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোতে চায়— এমন ইঙ্গিতই মিলবে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজমাতা সিরিকিতের মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী অনুতিনের আসিয়ান সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
শনিবার অনুতিন সাংবাদিকদের জানান,তিনি রবিবার কুয়ালালামপুরে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হবেন। যার ফলে তার সফর একদিন পিছিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান,স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সকালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যাতে তিনি বিকেলে ব্যাংককে ফিরে কুইন মাদারের আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন।
ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের সময় থেকেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে একটি শান্তি ঘোষণায় স্বাক্ষর করতে উৎসাহ দিয়ে আসছিলেন। অনুতিনের মুখপাত্র সম্প্রতি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই চুক্তির দাবিকে বাণিজ্য আলোচনায় চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
শনিবার মালয়েশিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকর্নদেজ বালানকুরা জানান, থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া উভয় পক্ষই অনুতিনের সুবিধার্থে রবিবার দুপুর নাগাদ (পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই) অনুষ্ঠানের সময় এগিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, এটি কেবল শুরু। কোনও চূড়ান্ত সমাধান নয়। ‘শান্তির জন্য ট্রাম্পের সমর্থন প্রশংসনীয় এবং আমরা তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করছি’বলেওও মন্তব্য করেন তিনি।
এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর ট্রাম্পের আসিয়ান সম্মেলনে অংশগ্রহণের একটি মূল আকর্ষণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে জুলাই মাসে সীমান্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর সেই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তখন তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, যদি দুই দেশ লড়াই বন্ধ না করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বন্ধ করে দেবে।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে ট্রাম্প বলেন, থাই-কাম্বোডিয়া সংঘাত বন্ধে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম যে ভূমিকা রেখেছেন, সেই কারণেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন।
