যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাইল্যান্ডের

Google Alert – সেনা

সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে যে, কম্বোডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ওই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।  


এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।


পাঁচ দিন ধরে চলা গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলার অবসান ঘটাতে সোমবার এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শুরুটা খুব একটা শান্তিপূর্ণ হয়নি।


থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাত ১২টার পর গোলাগুলি বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু সকাল পর্যন্ত একাধিক স্থানে কম্বোডিয়ার দিক থেকে গুলিবর্ষণ চলেছে।


অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটেনি।


তবুও, উভয় পক্ষের মধ্যে স্থানীয় সামরিক কমান্ডারদের একটি বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে—আর গুলি চালানো হবে না এবং ফ্রন্টলাইনে সেনা চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করতে একে অপরকে অনুমতি দেবে।


গত বৃহস্পতিবার সকালে গোলাগুলির পর কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের ভেতরে একাধিক রকেট নিক্ষেপ করে, যাতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।


পরবর্তী দিনগুলোতেও উভয় পক্ষেই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


যুদ্ধবিরতির সময়সীমা সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল। এর ঠিক আগে পর্যন্ত উভয় সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময় চলেছে। থাই সেনাবাহিনী তখনও কম্বোডিয়ার অবস্থানে বিমান হামলা চালায়।


তবে মঙ্গলবার সকালে থাইল্যান্ড অভিযোগ তোলার আগে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, রাত ১২টার পর থেকে ফ্রন্টলাইনে উত্তেজনা কমেছে।


যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশকেই তাদের সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে হবে এবং সংঘর্ষ ঠেকাতে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষককে মেনে নিতে হবে।


আরএইচ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *