Bangla Tribune
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে রসমালাই খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ‘রংধনু বেকারি অ্যান্ড সুইট হাট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালান।
এ ব্যাপারে ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, বিজয়নগরের রংধনু বেকারি অ্যান্ড সুইট হাট নামক বেকারি ও মিষ্টি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের রসমালাই খেয়ে একই পরিবারের পাঁচ জন মারাত্মক অসুস্থ হন। এই সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি প্রস্তুত, অবকাঠামোগত ত্রুটি, খাদ্যদ্রব্য যত্রতত্র খোলা ও অরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করতে দেখা গেছে। অভিযানে মিষ্টির শিরার মধ্যে মরা তেলাপোকা পাওয়া যায়। এই শিরা ভোক্তা সাধারণের কাছে মিষ্টির সঙ্গে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হয়। মিষ্টি প্রস্তুত ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা কোনও ধরনের ড্রেসকোড ছাড়া অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় মিষ্টি প্রস্তুত করছিলেন। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে এই প্রতিষ্ঠানের রসমালাই খেয়ে উপজেলার মহেশপুর গ্রামের তিন শিশুসহ পাঁচ জন অসুস্থ হন। অসুস্থরা হলেন– ওই গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী শারমিন বেগম(২৭), তাদের দুই সন্তান আয়াত (৪) ও সাদী-(১১), নাঈম মিয়ার স্ত্রী জ্যোতি বেগম (৩৩) ও মেয়ে ইয়ানা (৫)।
পরে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সুমন ভূঞা বলেন, ‘রসমালাই খেয়ে শিশুসহ পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
