Independent Television
রাঙামাটির বরকল উপজেলার বরুনাছড়িতে একটি বুনো হাতি শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগের ধারণা, খাড়া পাহাড় থেকে পা পিঁছলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে যায় হাতি শাবকটি। আহত অবস্থায় পরে হ্রদে ডুবেই মারা যায় হাতি শাবক।
ঘটনাটি ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির আওতাধীন রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি গ্রামের লিটনের টিলা এলাকায়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা বন বিভাগের।
যদিও আজ মঙ্গলবার দিনভর পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুজ্জামান শাহসহ বন বিভাগের লোকজন বুনো হাতি শাবকটি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। কাপ্তাই হ্রদে ডুবে মারা যাওয়া হাতি শাবকটির পাশের টিলাতেই হাতি শাবকটির মা, অর্থাৎ মা হাতি দাঁড়িয়েই আছে। মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদন পর্যন্ত লেখা পর্যন্ত হাতি শাবকটি উদ্ধার করা যায়নি। বুধবার আবারও শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে বন বিভাগ; এমনটাই জানিয়েছেন ডিএফও মো. রফিকুজ্জামান শাহ। হাতি শাবকটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, ‘জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি এলাকায় একটি খাড়া পাহাড় থেকে সম্ভবত সোমবার রাতে একটি বন্যহাতির শাবক ছেঁচড়া খেয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে মারা যায়। মঙ্গলবার সকালে আমরা ঘটনাটি জানার পরই সেখানে গিয়েছি। দিনভর সেখানেই ছিলাম, হাতি শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা করেও উদ্ধার করা যায়নি। কারণ হাতি শাবকটির পাশেই মা হাতিটি দিনভর দাঁড়িয়ে ছিল। হাতি শাবকটির কাছে গেলেই মা হাতিটি তেড়ে আসে।’
ডিএফও আরও বলেন, ‘আমরা আগামীকাল বুধবার আবার হাতি শাবকটি উদ্ধারে চেষ্টা চালাব। এরপর ভেটেরিনারি সার্জন দিয়ে ময়নাতদন্তের পর হাতি শাবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। উত্তর বন বিভাগের অধীনের বরুনাছড়ি এলাকায় মোট ১৩-১৪টি হাতি ও শাবক রয়েছে। তবে মৃত শাবকটির আনুমানিক বয়স ছয় মাস।’
