রাজশাহীতে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতির ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

RisingBD – Home


রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ১৩ আগস্ট ২০২৫  


রাজশাহীর মোহনপুরে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে ডাকাতদলের সদস্য সাজেদুল শেখ (৩৫) এবং মো. রুবেলকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীতে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) এ এ এম হুমায়ুন কবীর।তিনি জানিয়েছেন, গত ৭ আগস্ট

মোহনপুরের দেশ কোল্ড স্টোরেজে শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করা হয়। ওই দিনেই কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ মোহনপুর থানায় মামলা করে। ডাকাতরা ৬৬ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তামার তার এবং নগদ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়।  

এসপি এ এ এম হুমায়ুন কবীর জানান, ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পর অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত শুরু করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের পিপলুবাড়িয়া এলাকার সাজেদুল এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোটিয়ার রুবেলকে ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সাদেক এবং তার ছেলে হাসান ঢাকায় থেকে এ ডাকাতদল পরিচালনা করেন। তাদের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জনের একটি দল ট্রাক নিয়ে সারা দেশের কলকারখানা থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও তামার তার ডাকাতি করেন। এই দলেরই ১৪ জন মোহনপুরের দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতিতে অংশ  নেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতদলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

রাজশাহীতে ডাকাতিতে অংশ নেওয়া ডাকাতদলের ৮ সদস্য নাটোর চিনিকলেও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এই গ্রুপটি রংপুর চিনিকলে ডাকাতিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ডাকাত চক্রের সদস্যদের অধিকাংশ সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা। এই চক্রের দুজন সারা দেশে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে দলের প্রধান বাবা ও ছেলে ডাকাতির স্থান নির্ধারণ করে নির্দেশনা দেন। একটি ডাকাতির ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নেন। এর বিনিময়ে প্রত্যেকে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান।

ডাকাতির জন্য দলের সদস্যরা দুটি নম্বরবিহীন পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করেন। মোবাইল ফোন এবং সিম একবার ব্যবহার করে ফেলে দেন। এই দলের সদস্যদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *