Google Alert – সামরিক
রাশিয়া ইউক্রেইনে হামলায় যেসব ড্রোন ব্যবহার করছে, সেগুলোতে ভারতের তৈরি যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে কিইভ।
মঙ্গলবার টেলিগ্রামে এক বার্তায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক জানান, রাশিয়ার এসব ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্র ও বেসামরিক এলাকায় হামলায় ব্যবহার হচ্ছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিরপেক্ষ সূত্রে এ দাবি যাচাই করতে পারেনি।
ভারতীয় পত্রিকা ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ জানায়, তাদের পর্যালোচনা করা নথি অনুসারে, গত বছর থেকে একাধিক মনুষ্যবিহীন কমব্যাট ড্রোনে ভারতে তৈরি যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে।
এরপর ইউক্রেইনের পক্ষ অন্তত দুই বার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক স্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ইউক্রেইনের দাবি, ভারতের বিষয় ইন্টারটেকনোলজি এবং অরা সেমিকন্ডাক্টর নামের দুই সংস্থার তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহার হচ্ছে রাশিয়ার ব্যবহৃত ড্রোনে।
দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ার ইরানি নকশার ‘শহিদ ১৩৬’ ড্রোনের ভোল্টেজ রেগুলেটর ইউনিনে বিষয় ইন্টারটেকনোলজির ‘ব্রিজ রেক্টিফায়ার ই৩০০৩৫৯’ আছে।
আর ড্রোনটির স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমে আছে- অরা সেমিকন্ডাক্টারের তৈরি সিগনাল জেনারেটর এইউ৫৪২৬এ চিপ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক দূত ডেভিড ও’সালিভানের সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফরের সময় ইউক্রেইনের কূটনীতিকরা রুশ ড্রোনে ভারতীয় এই যন্ত্রাংশ পাওয়ার বিষয়টি তাকেও জানান।
ইউক্রেইন চায়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংযোগ হতে পারে এমন যে কোনও যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধ করুক ভারত।
পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক হাতিয়ার তৈরির প্রয়োজনে যন্ত্রাংশ কিংবা প্রযুক্তি সরবরাহ সীমিত করার চেষ্টা নিয়েছে, তখন মস্কো এগুলো ভারত, তুরস্ক ও চীনের মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও দেশের কাছ থেরেক সংগ্রহ করে চলেছে।
ভারত ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধে নিজেদের অবস্থানকে নিরপেক্ষ রেখেছে এবং দেশটি রাশিয়ার তেলের প্রধান ক্রেতাও হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করে তৃতীয় দেশে বিক্রি করছে এবং এতে মার্কিন স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৪ অগাস্ট দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “ভারত, চীন, তুরস্ক—সবাই রাশিয়া থেকে কিনছে। আমরাই শুধু বোকা।” সেই সঙ্গে তিনি ভারতের ওপর আরও ‘উল্লেখযোগ্য হারে’ শুল্ক আরোপের হুমকিও দেন।
এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত পাল্টা দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক বাজারের নিয়ম মেনেই তারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেরাও রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ ও জ্বালানি কিনে যাচ্ছে।