Google Alert – সামরিক
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার কয়েকটি তেল স্থাপনা ও সামরিক ড্রোন ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। শনিবার রাশিয়ার প্রধান একটি তেল শোধনাগার ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদনকারী কারখানাও নিশানা করা হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিশেষ শাখা ইউএসএফ বলেছে, মস্কো থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রিয়াজানে অবস্থিত তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এই হামলায় রুশ তেল শোধনাগারে আগুন ধরে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার ভোরোনেজ অঞ্চলের আনানেফ্তেপ্রোদুক্ট তেল সংরক্ষণ স্থাপনাতেও হামলা করা হয়েছে। তবে
কীভাবে এসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তথ্য জানায়নি ইউক্রেন।
তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিশেষ শাখা ইউএসএফ মূলত ড্রোন ও দূরপাল্লার হামলায় বিশেষজ্ঞ। আর ওই হামলার বিষয়েও রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ রাশিয়ার প্রিমোরস্কো-আখতারস্ক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে। এই ঘাঁটি থেকে প্রায়ই ইউক্রেনের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালানো হয়।
এর পাশাপাশি রাশিয়ার পেনজা অঞ্চলের একটি কারখানাতেও হামলার দাবি করেছে এসবিইউ। এই কারখানা থেকে রাশিয়ার সামরিক-শিল্পখাতের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।
২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর সময় ইউক্রেনের কাছে দূরপাল্লার হামলার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তবে দেশটি বর্তমানে শত শত কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরক বহনে সক্ষম আত্মঘাতী ড্রোনের বহর গড়ে তুলেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার রাতভর ইউক্রেনের ছোড়া ৩৩৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী রাশিয়ার ছোড়া ৫৩টি ড্রোনের মাঝে অন্তত ৪৫টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে।