দেশ রূপান্তর
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার নতুন করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত ২১ জন আহত এবং ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এই হামলা আবারও প্রমাণ করেছে যে, যুদ্ধ বন্ধে এখনো রাশিয়ার ওপর যথেষ্ট আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।’
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে নির্ধারিত শীর্ষ বৈঠক তিনি বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বৈঠকটিকে ‘ব্যর্থ’ বলে আখ্যায়িত করেন। অপরদিকে ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ক্রেমলিন বর্তমান সীমান্তরেখায় অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত একটি কেমিক্যাল প্ল্যান্টে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ওই কারখানায় গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি তৈরি হয়—যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে জেলেনস্কি দেশে ফেরেন। শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার অনুরোধ করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘আমাদের জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় রাশিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কূটনীতি নিয়ে কম আগ্রহী হয়ে উঠছে।”
কিয়েভে সর্বশেষ হামলায় একটি ড্রোন শহরের একটি উচ্চ ভবনে আঘাত হানে, এতে প্রবীণ এক দম্পতি ঘটনাস্থলেই মারা যান। কিয়েভ অঞ্চলে আরও চারজন নিহত হয়েছেন—তাদের মধ্যে রয়েছেন এক নারী, ছয় মাসের একটি শিশু এবং ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে। সকাল পর্যন্ত দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যান।
এদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়া পুনরায় শিল্প ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এতে বহু এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
