রেকর্ডধারী ও পদকজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার

Google Alert – আর্মি

১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস

৫০০ অ্যাথলেটের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস। আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করবেন- যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের (বিএএফ) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাইম আশরাফ চৌধুরী সেখানে থাকবেন।

সামার অ্যাথলেটিকসের মূল ইভেন্ট হবে পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে। তবে ইভেন্ট অনুযায়ী বদলাবে ভেন্যু। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে এদিন ভোর সাড়ে ৪টায় হবে প্রতিযোগিতার ম্যারাথন ইভেন্ট। জ্যাভলিন থ্রো ছাড়া টুর্নামেন্টের অন্যান্য সব থ্রোয়িং ইভেন্ট হবে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। তিন দিনব্যাপী হবে সামার অ্যাথলেটিকস। নারী, পুরুষ সবমিলিয়ে থাকছে ৪০ ইভেন্টের খেলা। যার মধ্যে পুরুষদের জন্য রয়েছে ২২ ইভেন্ট। ১৮ ইভেন্ট থাকছে মেয়েদের জন্য। প্রতিযোগিতার ইভেন্টের ফল ও টাইমিং নির্ধারিত করতে ইলেকট্রনিকস ফটোফিনিশিং মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জজয়ীদের ৫০০০, ৩০০০ ও ২০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া রেকর্ড গড়া প্রত্যেক অ্যাথলেটকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। আমেরিকা প্রবাসী সাবেক দ্রুততম মানব শাহ জালাল মবিন নারী ও পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম তিন জনের জন্য মোট ৮০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

এছাড়া অ্যাথলেটিকসের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ও ৪৬ সংগঠককে প্রধান অতিথির মাধ্যমে দেওয়া হবে সম্মাননা স্মারক। এরআগে জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিকসে বিচার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের বড় অংশ জুড়েই ছিল এ বিষয়ে। ফেডারেশন অবশ্য বিগত ভুল-ত্রুটি শুধরে এবার সম্পূর্ণ নির্ভুল ফলাফল প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘আজ বিকালেই জাজদের রিফ্রেশার্স কোর্স রয়েছে। জাজদের সঙ্গে আমরাও বৈঠক করব। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে ফলাফল প্রদান করা হবে। এখন ফটোমেশিনও রয়েছে ফলে পক্ষপাত করার সুযোগ সেই অর্থে নেই।’ জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অনেক সময় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে খেলার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয় এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। এ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এবার আগেভাগেই কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে বসেছি যেন এই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’

বাফুফে ও অ্যাথলেটিকস দুই ফেডারেশন যৌথভাবে জাতীয় স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে, এই নিদের্শনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। বারো মাসের মধ্যে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন সর্বসাকুল্যে এক মাস ব্যবহার করে। এরপরও বাফুফের নানা নির্দেশনা-অনুরোধ থাকে।

বাফুফের নির্দেশনার জন্য থ্রো ইভেন্টগুলো জাতীয় স্টেডিয়ামের পরিবর্তে আর্মি স্টেডিয়ামে করেছে ফেডারেশন। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন নিজেদের অধিকার আদায় না করে উল্টো নমনীয়। ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিসকাস থ্রো, শটপুটে মাঠে মাটি হাল্কা নড়চড় হয়। সেটা আমরা ঠিক করে দিতে চাইলেও বাফুফে সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের অনুরোধ করেছে মাঠে আয়োজন না করার। তাদের সম্মানার্থে আমরা এবার আর্মি স্টেডিয়ামে করছি।’

ফেডারেশনের নতুন কমিটি জাতীয় প্রতিযোগিতার পর সামার আয়োজন করছে। এই দুইটি আয়োজনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়।

কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ফেডারেশনের ফান্ড থেকেই ব্যয় হচ্ছে, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অনুদান ও আমাদের ফান্ড থেকে আপাতত খেলা চালিয়ে নিচ্ছি। সামনে আমরা স্পন্সর নিয়েই করব’- বলেন সাধারণ সম্পাদক। মাদার অফ অল ডিসিপ্লিন হিসেবে খ্যাত অ্যাথলেটিক্স। সেই অ্যাথলেটিকস এখন বাংলাদেশে অনেকটাই নিভৃতে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *