Google Alert – আর্মি
ব্যাংককভিত্তিক এই সংস্থাটির নতুন তদন্তে বলা হয়েছে, রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী এই শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তাদের অধীনস্থ গ্রাম এবং অস্থায়ী আটক কেন্দ্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
ফর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ইজাজ মিন খান্ট বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন এবং হত্যার জন্য আরাকান আর্মি দায়ী, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে শিরশ্ছেদ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এই কাজগুলো যুদ্ধের আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ৩৯ জন রোহিঙ্গা, যার মধ্যে আটজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া তারা এসব কথিত অপরাধের ছবি এবং ভিডিও প্রমাণ যাচাই করেছে।
তবে ফর্টিফাই রাইটসের বৈঠকের অনুরোধের জবাবে আরাকান আর্মি অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটিকে তারা ‘আমাদের সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে একটি বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আরাকান আর্মির বারবার অস্বীকার সত্ত্বেও ফর্টিফাই রাইটস দাবি করেছে, তারা ধারাবাহিকভাবে এই গোষ্ঠীর যুদ্ধাপরাধ নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্টে নাফ নদীর কাছে একটি গণহত্যা এবং ওই বছরের মে মাসে রোহিঙ্গা বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এমনকি, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আরাকার আর্মি নিজেরাই স্বীকার করেছে, তাদের যোদ্ধারা দুজন যুদ্ধবন্দিকে নির্যাতন ও সংক্ষিপ্তভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
আজকালের খবর/ এমকে