লংগদুতে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক শিক্ষকসহ ১৩ গ্রামবাসীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ!

CHT NEWS


লংগদু প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

রাঙামাটির লংগদুতে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক শিক্ষক, দোকানদারসহ ১৩ জন গ্রামবাসীকে
শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন ২০২৫) বিকালে ৭নং লংগদু সদর ইউনিয়নের বড় কাট্টলী
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- ১. সুবর্ণ জীবন চাকমা (৬০), পিত- প্রভাত কুমার চাকমা,
পেশা- দোকানদার; ২. অভয় চাকমা (৫৮), পিতা- শুভ কুমার চাকমা, পেশা- প্রধান শিক্ষক, কাট্টলী
উচ্চবিদ্যালয়; ৩. বিদ্যাধন চাকমা (৫৫), পিতা-ঝরবো ধন চাকমা, পেশা- সহকারী শিক্ষক, বামে
হাড়িকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪. বিমল জ‍্যোতি চাকমা (খন্ডকালীন শিক্ষক) বয়স-
৩৫ বছর।, পিতা- নন্দ কুমার চাকমা; ৫. দাশ চাকমা (৫৫), পিতা- হরি চদ্র চাকমা, পেশা-
দোকানদার; ৬. বীর রন্জন চাকমা (৪৭), পিতা- শ‍্যাম চদ্র চাকমা, পেশা- দোকানদার, ৭. প্রেম
লাল চাকমা (৫৮), পিতা- দশরত চাকমা, পেশা- দোকানদার; ৮. বিরাজ মোহন চাকমা (৩৮), পিতা-
অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার; ৯. জ‍্যোতি চাকমা (৫২), পিতা- অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার; ১০.
লিটু চাকমা (৩৫); পিতা- অজ্ঞাত; পেশা- কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানি; ১১. লিটন চকমা
(৪০), পিতা- অজ্ঞাত, পেশা-দোকানদার; ১২. বাবুল চাকমা (খণ্ডকালীন শিক্ষক), বয়স- ৪২ বছর,
পিতাঃ অজ্ঞাত, ১৩. মরত চবো চাকমা (বোবা) বয়স- ৩৫ বছর, পিতা- অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার
(নাপিত)। এছাড়া আরো কয়েকজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। ভুক্তভোগীরা
সবাই বড় কাট্টলীর রাধামন বাজারস্থ মাস্টার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার সময়
৭/৮ জন গ্রামবাসী রাধামন বাজারস্থ মাস্টার পড়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে একটি স্থানে যাচ্ছিলেন।
যাবার পথে তারা বড় কাট্টলী মুখ দোকান এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা
রিটেন চাকমার নেতৃত্বে সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের নৌকাটি আটকিয়ে “ইউপিডিএফের
লোকজনের জন্য ভাত নিয়ে যাওয়ার” অভিযোগে তাদেরকে ধরে অন্য একটি স্থানে নিয়ে যায়।

পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে রাধামন বাজারের দোকানদারা মিলে তাদেরকে ছাড়িয়ে
আনার জন্য সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র দলটির কাছে যান। এরপর সন্ত্রাসীরা আগে থেকে ধরে নেওয়া
ও পরে সেখানে যাওয়া সবাইকে বেধড়কভাবে মারধর করে এবং পরে সবাইকে ছেড়ে দেয়। এরপর ফিরে এসে গ্রামবাসীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এর আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদেরকে ‘ইউপিডিএফের সাথে যোগাযোগ রাখার’ অভিযোগ
করে মেরে ফেলার হুমকিসহ নানা হুমকি দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ জানা গেছে, সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা আজ (১৮ জুন) সকালে আবারো ভুক্তভোগীদের  ডেকে পাঠিয়েছে। ফলে তাদেরকে সেখানে যেতে হয়েছে। তাদের ভাগ্যে আরো কী জুটেছে তা এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায়নি।

সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র দলটি বর্তমানে উত্তর বড়কলক নামক স্থানে অবস্থান করছে
বলে খবর পাওয়া গেছে।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *