লোকসানে চলা স্থলবন্দর  বন্ধ করে দেওয়া হবে

Samakal | Rss Feed


লোকসানে চলা স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে

অর্থনীতি

হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

2025-08-10

যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি–রপ্তানি হয় না এবং লোকসানে চলছে, সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ২৪টি বন্দরের মধ্যে আটটি বন্দর বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে চারটি বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে কার্যকর বন্দর ১২ থেকে ১৪টি। বছরে যেখানে মাত্র ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ হয় তার চেয়ে অনেক বেশি, সেখানে আধুনিকায়ন করে লাভ নেই। যেসব বন্দর কার্যকর ও বড়, সেগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। কিছু নদীবন্দর বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, হিলি স্থলবন্দরের কিছু অব্যবস্থাপনার কথা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনেছেন। অব্যবস্থানার বিষয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। 

নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বন্দরের সভাকক্ষে কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বন্দরের যেসব অনিয়ম ও পণ্য আমদানিতে জটিলতা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন ও এর সমাধান চান উপদেষ্টার কাছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার, জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল অরিফুল দৌলা, দিনাজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক সমিতির  সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক,
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকের পর উপদেষ্টা বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় যান । 

© Samakal

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *