Google Alert – সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শুক্রবার ভোরে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকটি হয়েছে এক আন্তরিক পরিবেশে।
বৈঠকের পর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও ফিল্ড মার্শাল মুনির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ করছেন। এ সময় ট্রাম্পকে তাঁর স্বভাবসুলভ হাসি দিতে ও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সমর্থন প্রকাশের ভঙ্গিমায় দেখা যায়। বৈঠকের আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “এক দারুণ নেতা আসছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পাক সেনাপ্রধান, তিনিও অসাধারণ মানুষ।” সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক সুরক্ষা, বাণিজ্যর মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
গণমাধ্যমকে বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল ওয়াশিংটন সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে (পাকিস্তান সময় দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিট)। তবে কিছু নির্বাহী আদেশে সই করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলায় তাদের এ বৈঠক প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। বৈঠক শুরুর আগে ওভাল অফিসের সোনালি আসবাবে বসে ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে। অপর প্রান্তে তখন আগের অনুষ্ঠানের কাজ শেষ করছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায়। আর গণমাধ্যমের কর্মীরা তাদের সরঞ্জাম গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও কক্ষে প্রবেশ করলে তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে দুই পাকিস্তানি নেতাকে অভিবাদন জানান। সূত্র : ডন।
প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাসের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
গত ২১ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে ‘কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত ও ভিসা কনসুলার, ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের নামে তুরস্ক দূতাবাসের স্বেচ্ছাচারিতা’Ñ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছে তুরস্ক দূতাবাসের কনসুলার বিভাগের প্রধান। ইনকিলাব সম্পাদক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়Ñ আপনার পত্রিকায় ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। কোনো অভিযোগ করার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে কথা বলা সাংবাদিকতার মূল নীতি। মনে হচ্ছে সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য উক্ত প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি। অধিকন্তু, ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রকাশ করা আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিসার আবেদনের বিষয়ে আপনার হতাশা প্রতিফলিত করার উপযুক্ত উপায় নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তুরস্ক দূতাবাসের পাবলিক রিলেশন্স-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি দূতাবাস অফিসে গিয়েও এ বিষয়ে কোনো সুযোগ মেলেনি। দূতাবাসের অফিসিয়াল মেইলে মেইল পাঠানোর পরেও তার কোনো জবাব মেলেনি। বরং ঢাকাস্থ তুরস্ক দূতাবাস নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কাউকে কথা বলা বা সাক্ষাৎ করা থেকে বঞ্চিত রেখে নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতাই প্রমাণ করেছে।
চিঠিতে সংবাদটির তথ্যকে ভিত্তিহীন বলা হলেও ‘কোন্ তথ্যটি’ ভিত্তিহীন তা বলা হয়নি। বরং প্রকাশিত তথ্যের কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে তথ্যগুলোকে পক্ষান্তরে মেনে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে, চলতি বছরের ১১ জুন মাসে ভুয়া ভিসা নিয়ে ভ্রমণের অভিযোগে তুরস্কের বিমানবন্দর থেকে ৩০ বাংলাদেশি ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য তার কোনো জবাব দেয়া হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়। যে প্রতিষ্ঠানকে তুরস্কের ভিসা প্রসেসিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ লেনদেনের তথ্য দেয়া হলেও তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। একটি বিশেষ ইসলামী রাজনৈতিক দলকে দূতাবাস যে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি চিঠিতে।