Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদে ৫১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮০১টি পদে ভুল চাহিদা দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভুল চাহিদাগুলো চিহ্নিত করা গেছে। তবে এসব ভুল চাহিদায় যেনো কোনো প্রার্থী সুপারিশ না পান সেজন্য কাজ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং কারিগরি সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটক লিমিডেট।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টেলিটক ভুল চাহিদার সুপারিশ ঠেকাতে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে। এনটিআরসিএ ও টেলিটকের চেষ্টায় ভুল চাহিদায় সুপারিশ দেয়া হবে না বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এর আগে দেখা গেছে ভুল চাহিদায় যারা আবেদন করেছিলেন তাদের ভোগান্তি ছিলো তুঙ্গে। তবে এবার আগেভাগেই ভুল চাহিদায় আবেদন যেনো না হয় সেজন্য শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে এনটিআরসিএ ও টেলিটক লিমিটেড।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন ২২ জুন দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়। এই আবেদন ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলে। ১৩ জুলাই পর্যন্ত প্রার্থীরা টাকা জমা দিয়েছে। আবেদনকারীর বয়স ৪ জুন সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
গত ১৬ জুন এই নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এবার বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স ও নারী কোটা বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বয়স ধরা হয় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ ৪ঠা জুন। এই তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। আর সনদের মেয়াদ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য এবারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি পদ, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১ এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে একহাজার ১১০টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের (প্রভাষক, সহকারি শিক্ষক ইত্যাদি) শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো।
কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।