Independent Television
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে সংকট দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই আরেকটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে।’
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন নূর।
গণসমাবেশে নুরুল হক নূর বলেন, ‘ড. ইউনূসকে বলতে চাই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করুন, প্রশাসনকে ঢেলে সাজান৷ অন্যথায় আপনারা নির্বাচন করে বিদায় নিতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে সংকট দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই আরেকটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এই সরকারের বেশ কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি জোরালো হবে এবং আমাদের অবস্থান হয়তো সেদিকেই থাকবে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর বলেন, ‘গত এক বছরে কোনো সিন্ডিকেট ভাঙেনি, কোনো চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। শুধু ব্যক্তি এবং হাত বদল হয়েছে। এই সরকারের দ্বারা এটি আমরা প্রত্যাশা করিনি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই সরকার সবার জন্য একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে চলবে।’
নূর আরও বলেন, ‘যেই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে লড়াই করে নতুন এই বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দিয়েছি; অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদকে নিষিদ্ধ করলেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্ফালন এখনও দেখা যায়।’
জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূর বলেন, ‘গত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রেখেছিল ১৪ দলের শরীকরা। তাদেরই একটি শরীক দল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধি, কিন্তু জাতীয় পার্টির আস্ফালন আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই পরিষ্কারভাবে সরকারকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে জাতীয় পার্টির কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।