সংঘাতকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যবহার করবেন নেতানিয়াহু

RisingBD – Home

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলেও সামরিক উত্তেজনা যেমন কমেনি তেমনি এই সংঘাতের পুরো রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেষ্টা করবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যিনি দুর্নীতির মামলাতেও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

 

ইরানের সঙ্গে সংঘাতকে কীভাবে পুঁজি করতে পারেন নেতানিয়াহু, এই বিষয়ে আলজাজিরা কথা বলেছে সামরিক বিশ্লেষক ও ন্যাটোর সাবেক কর্মকর্তা ইউসুফ আলাবারদার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলো প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সাফল্য হিসেবে ইসরায়েলে বিবেচনা করা হবে।

“২০ বছর ধরে ইসরায়েলের ইচ্ছা ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা। নেতানিয়াহু তার লক্ষ্য অর্জন করেছেন; স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছেন,” বলেন আলাবারদা।

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু এটিকে তার রাজনৈতিক জীবনের জন্য ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তী নির্বাচনে এটিকে এমন এক বিজয় হিসেবে তুলে ধরবেন, যা ইসরায়েলের দৃষ্টিতে তাদের সবচেয়ে বড় হুমকির বিরুদ্ধে অর্জিত হয়েছে।”

আলাবারদা বলেন, “ইরান একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। লেবানন, সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশে হিজবুল্লাহর মতো তার সব ছায়াসঙ্গীকে হারিয়েছে; এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে।”

এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরেও আলাবারদা তেহরানে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ‘আয়রন ডোম’ ভেদ করতে পেরেছে ইরান। এই কারণে নেতানিয়াহু আর এগিয়ে গিয়ে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারবেন না।”

অবশ্য যুদ্ধবিরতির দিন থেকেই নেতানিয়াহু দাবি করা শুরু করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে হামলার জন্য ভূয়সী প্রশংসা প্রকাশ করেছেন।

নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে কথোপকথনের পর ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালায়নি।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “কথোপকথনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, তারা যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করেছে। প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতা নিয়েও আস্থা প্রকাশ করেন।”

ইসরায়েলের বিশ্বস্ত বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের সঙ্গে সংঘাত আর দীর্ঘস্থায়ী করতে চায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোর দিচ্ছেন; যদিও হরহামেশা তার কথার পরিবর্তন হয়ে থাকে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *