সংসদ আগের মতোই কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হবে

Google Alert – সশস্ত্র

বললেন বজলুর রশীদ

নির্বাচনী ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, সংসদ আগের মতোই কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হবে। জাতীয় সংসদকে কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত করার চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে হবে। জামানত বাড়িয়ে নির্বাচনে সাধারণ মানুষের প্রার্থী হওয়াকে অসম্ভব করা চলবে না। গতকাল সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বজলুর রশীদ ফিরোজ এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে জামানত বাড়ানোসহ অনেকগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে, যা নির্বাচনকে জটিল ও সাধারণ মানুষের প্রার্থী হওয়াটাকে অসম্ভব করে তুলবে। বিবৃতিতে বজলুর রশীদ বলেন, ‘জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয়সীমা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা হারে ন্যূনতম ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৮ লাখ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ধনীদের জন্য সহজ এবং সাধারণ মানুষের জন্য প্রার্থী হওয়া কঠিন করে তোলা হয়েছে।

ফলে বাস্তবে সংসদ আগের মতোই কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হবে; যা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’ বজলুর রশীদ আরও বলেন, ‘না ভোটের বিধান চালু করা আমাদের দীর্ঘদিনের অন্যতম দাবি ছিল। কিন্তু শুধু একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে না ভোটের বিধান চালু করা ভোটারদের মতপ্রকাশের পথকে রুদ্ধ করবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করায় নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কঠিন হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কত সহজ করা যায়, সেই পথ বের করাই কমিশনের কাজ। অথচ তা না করে কমিশন অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করেছে, যা মোটেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। বলেন, এতে দমনপীড়নের মাত্রা বাড়বে এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিবৃতিতে বজলুর রশীদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ থাকলে বা ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান নতুন জটিলতা তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ অপরাধী সাব্যস্ত না করার নীতিরও পরিপন্থী। ফলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার প্রবণতাও বাড়বে। প্রার্থীদের জামানত না বাড়িয়ে বরং ৫ হাজার টাকা করা, নির্বাচনী ব্যয়সীমা কমিয়ে তিন লাখ টাকা করা, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বহাল রাখার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা না দেওয়া এবং মামলা বা ফেরারি থাকলেই প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণার বিধান প্রবর্তন না করার দাবি জানানো হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *