সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না: সাইফুল আলম খান

Bangla Tribune

পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, গুনাহ মাফের মাস, তাই এ মাসের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবজীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।

বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাজধানীর ফার্মগেটের হোটেল শুকতারায় শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, আজ আমরা যখন ইফতার করার জন্য ইফতারির রকমারি পসরা নিয়ে বসেছি, তখন আমাদের গাজার মজলুম ভাইয়েরা জায়নবাদীর নির্মমতার শিকার হচ্ছেন। দখলদার বাহিনী সেখানে প্রতিনিয়ত গণহত্যা চালাচ্ছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সেখানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আহত করে পুরো গাজা নগরীকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিবেক তাদের জন্য জাগ্রত হচ্ছে না বরং তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মুসলিম বিশ্ব তাদের জন্য কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।

তাই গাজার মুসলমানদের রক্ষায় বিশ্ব মুসিলমকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি অবিলম্বে গাজায় হত্যা ও নিধনযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম বিশ্ব কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। ভারতের পরিকল্পনায় দেশের ৫৭ জন চৌকস, মেধাবী ও দেশপ্রেমী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অনিরাপদ ও অরক্ষিত করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য ব্যাপকভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। যা জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টে ওঠে এসেছে। যা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এতে আওয়ামী সরকার কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে। তাই এসব গণহত্যাকারীকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রতিভূরা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মূলত, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকেই বিকল করে দিয়েছে। বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসনসহ সকল কিছুকেই দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কোনভাবেই ফলপ্রসূ হবে না বরং ফ্যাসিবাদ নতুন করে ফিরে আসার মওকা খুঁজবে। কোনও গালগল্প বা কিচ্ছা-কাহিনীর মাধ্যমে জাতির এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তাই দেশ ও জাতির ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় সকলকে উদ্যোগী ও উদ্যমী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য।

থানা আমির আবু সাঈদ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি তারিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও প্রচার এবং মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার।

আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংকার মাহবুবুল আলম, কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজম, সফিকুর রহমান পাটোয়ারী, জামায়াত নেতা সোহেল খান, জামিল বিন হোসাইন ও যাওয়াদ প্রমুখ।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *