jagonews24.com | rss Feed
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়ে ৪৫ জনসহ মোট ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজহারভুক্ত চার আসামিকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ( ৯ আগস্ট) সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহাগ রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন এবং দুই শিক্ষার্থী মো. ফারুক ও মো. কামরান সিদ্দিকী ইমরোজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা দায়েরের আগের দিন আটক হওয়া চার আসামি—কিরণ, সাদ্দাম, বিল্লাল ও মানিককে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কোর্টে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:৩০টায় জবির ১৯তম ব্যাচের ছাত্র আনিস সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পল্টনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় সুন্দরবন-১২ লঞ্চের স্টাফ জসিম তাকে যাত্রী ভেবে টিকিট কাটার জন্য টান দেন। আনিস নিজের ছাত্র পরিচয় দিলে জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চলে যেতে বলেন এবং ধাক্কা দেন।
এ ঘটনার পর আনিস ক্যাম্পাসে ফিরে বন্ধুদের বিষয়টি জানালে তারা ঘটনার সত্যতা জানতে লঞ্চঘাটে যান। সেখানে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের স্টাফদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ১ নম্বর আসামি মুফতিজুল কবির কিরণ নিজেকে ঘাট কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের হাতে পিস্তল, রড, ছুরি ও লাঠিসোঁটা ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ শুরু করে। ছাত্ররা প্রতিবাদ করলে কিরণের নির্দেশে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে আরও বলা হয়, হামলার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৪ হাজার ৪৯০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া, তাদের ঘড়ি ও সানগ্লাস ভাঙচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়। আহত শিক্ষার্থীদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহাগ রানা বলেন, গতকাল শুক্রবার ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে নেওয়া হয়। এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিএইচকিউ/কেএইচকে/জেআইএম