সন্তান গর্ভে নিয়ে লড়েছেন কার্গিল যুদ্ধ, Yashika Hatwal Tyagi-র জীবনকাহিনি দেশের সব মেয়ের মাথা গর্বে উঁচু করবে

Google Alert – সেনাবাহিনী

আঘাত, প্রত্যাঘাতে পরিস্থিতি এখনও জটিল। পাকিস্তানের প্রতিটি আক্রমণের সমুচিত জবাব দিয়েছে ভারত। এ হেন পরিস্থিতিতে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে কার্গিল যুদ্ধের কথা। দেশকে সেই সময়ে রক্ষা করেছেন যে বীর সেনারা, তাঁদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপিত হচ্ছে নতুন করে। এই প্রেক্ষাপটেই ফিরে দেখা যাক যশিকা হতওয়ালের জীবনগাথা। (Photo: File)

মাত্র ৭ বছর বয়সে সেনা অফিসার বাবাকে হারিয়েছিলেন: যশিকা হটওয়াল ত্যাগীর বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন। ১৯৬২, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১৭১ সালের যুদ্ধে তিনি যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে কর্নেল পদে থাকাকালীন মৃত্যু বরণ করেন। যশিকার বয়স তখন মাত্র ৭ বছর, যখন বাবার মরদেহ সেনাবাহিনী ট্রাকে করে নিয়ে আসে। সে দিনই তিনি ইউনিফর্ম পরার সিদ্ধান্ত নেন। (Photo: Collected)

এসএসবি পাশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান: বাবার মৃত্যুর পর যশিকা এবং ভাইবোনদের মা একাই লালন-পালন করেন। এক স্কুলে পড়িয়ে তিনি গোটা পরিবার টেনেছেন। যেহেতু সেনাবাহিনীতে মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না, তাই যশিকা স্নাতক হওয়ার পর ইউপিএসসি-তে (ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন) যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভাগ্য ভাল ছিল, ১৯৯৩ সালে সেনাবাহিনী ঘোষণা করে যে মহিলারা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। যশিকা আবেদন করেন। ১৯৯৪ সালে ইয়াশিকা সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। (File Photo)

প্রথম মহিলা সেনা অফিসার যিনি হাই অল্টিটিউডে নিযুক্ত হন: যশিকা একজন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে স্নাতক হন এবং তাঁর যোগ্যতার জন্য রৌপ্য পদকও পান। যশিকার প্রথম পোস্টিং ছিল উত্তর-পূর্বে লজিস্টিক উইংয়ে। তিনি একজন সহকর্মী অফিসারকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯৬ সালে মা হন। দ্বিতীয় পোস্টিংয়ের জন্য যশিকা লেহকে বেছে নেন, হাই অল্টিটিউডে নিযুক্ত প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে তাঁর নামই আসে। ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর পোস্টিং শেষ হতে চলেছে, তখন কার্গিল যুদ্ধ শুরু হয়। (Photo: Collected)

কার্গিল যুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে গর্ভে ছিল দ্বিতীয় সন্তান: উচ্চতা এবং কঠিন ভৌগোলিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও পোস্টিং চলাকালীন যশিকা বড় ছেলে কানভকে তাঁর কাছে রেখেছিলেন। ১৯৯৯ সালে যখন লেহতে তাঁর পোস্টিং শেষ হতে চলেছে, তখন কার্গিল যুদ্ধ শুরু হয়। এই সময়ে দ্বিতীয় সন্তান ধ্রুব ছিল গর্ভে। অন্তঃসত্ত্বা যশিকা কেবল যুদ্ধই করেননি, বড় ছেলের দেখাশোনাও করেন। এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে যশিকা একটি ডিজিটাল মিডিয়াকে বলেন, ‘‘আমরা জানতামই না যে ১৯৯৯ সালের মে মাসে যুদ্ধ শুরু হবে। জরুরি অবস্থার কারণে, যুদ্ধের সময় ছেলেকে আমার সঙ্গে রাখতে হয়েছিল। তার উপস্থিতি আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’’ (Photo: Social Media)

ক্যাপ্টেন পদে থাকাকালীন যশিকা ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি জোশ টকস এবং টেড টকস-এ তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সকলকে অনুপ্রাণিত করছেন, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও উদ্যোগেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *