সন্দেহজনক তৎপরতায় জেএসএস সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে মিজোরাম ও ত্রিপুরা সরকার

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

নিউজ ডেস্ক

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)-এর সদস্যদের ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে অবৈধ তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিজোরামের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দক্ষিণ ত্রিপুরার নূতনবাজার এলাকায় শতাধিক বাঙালি ও উপজাতি জনগোষ্ঠী পিসিজেএসএস সদস্যদের ভারতে আশ্রয় প্রদান ও তাদের অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করে, যাতে বাংলাদেশি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের ভারত থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়, পাশাপাশি ভারতের ভেতরে মাদক চোরাচালান ও যুব সমাজকে বিপথে নেয়ার কাজেও জড়িত। তারা চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে ‘ত্রিপুরা ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট (TUNF)’ নামে একটি জোট গঠন করেছে এবং তাদের আশ্রয় দিয়ে ভারতবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।

এছাড়া সংগঠনটির বিরুদ্ধে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে অস্ত্র, ইয়াবা ট্যাবলেট, বার্মিজ সিগারেট ও গরু পাচারের অভিযোগও তোলা হয়। এসব কার্যক্রমে ত্রিপুরা ও মিজোরামের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ত্রিপুরার ধলাই জেলার রাইশ্যাবাড়ি এলাকা থেকে ২,৭২০ প্যাকেট বার্মিজ সিগারেট জব্দ করা হয় যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ রুপি। চলতি বছরের ১৯ জুন মিজোরামের লুংলেই শহর থেকে আসাম রাইফেলসের অভিযানে প্রায় ১০ কোটি রুপির মাদক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি মিজোরাম পুলিশ একটি বড় অস্ত্রের চালান আটক করে এবং ৪ জুন ত্রিপুরা পুলিশ পিসিজেএসএস-এর ১৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে পরবর্তীতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।

বিক্ষোভকারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) এখন একটি “ট্রান্সন্যাশনাল ট্র্যাফিকিং গ্যাং”-এ পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শান্তিচুক্তি সইয়ের পরও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস-এর বিরুদ্ধেই সশস্ত্র কর্মকাণ্ড, অস্ত্রধারী পাহাড়ি গোষ্ঠী লালন-পালন এবং রাজনৈতিক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এবার সেই অভিযোগ ভারতীয় ভূখণ্ডেও প্রতিফলিত হওয়ায় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট মহলে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *