সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে

Google Alert – সেনাপ্রধান

গণ অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু দেশের মানুষ শান্তি পেল না। দিনদিন অশান্তি  বরং বাড়ছে।

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন করার গুরুদায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য তৈরি হচ্ছে। সবাই সবাইকে ল্যাং মারার চেষ্টা করছে। মুখে জনগণের সেবার কথা বললেও সবাই চায় ক্ষমতা। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্য তারাও চায়; যারা যোগ্য নয়, তারাও চায়। আবার যারা দেশটাই চায়নি তারাও স্বাধীন দেশের ক্ষমতা চায়। মনে হচ্ছে এখন ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এ অবস্থায় নির্বাচনের ঝুঁকি বাড়ছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এ মুহূর্তে নির্বাচন খুবই জরুরি। ক্ষমতা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন দরকার নেই, এমন অবস্থান নিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এদিকে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। দেশে এখন যা হচ্ছে, তা সকল পর্যায়ের মানুষের সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসাবাণিজ্য, কর্মসংস্থান, সামাজিক শৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায় প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চাপা কষ্ট বিরাজ করছে।

বর্তমানে দেশে প্রধান যেসব সমস্যা তার সমাধানের একমাত্র পথ প্রতিশ্রুত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে আয়োজনের অনুমতি দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপও ঘোষণা করেছে। তার পরেও শতভাগ আস্থা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ রাজনৈতিক দলের একটি গ্রুপ এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন হতে দেবে না। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) মাধ্যমে তারা নির্বাচনের আগেই সংসদে নিজেদের আসন নিশ্চিত করতে চায়। রাজনীতি ও নির্বাচনের পুরোনো বন্দোবস্ত ছিল নির্বাচনের আগে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করা। অর্থাৎ জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে কোন দল কয়টি আসনে নির্বাচন করবে, বড় দল ছোট দলকে কয়টি আসনে ছাড় দেবে। এ ব্যবস্থায় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া শতভাগ নিশ্চিত ছিল না। নতুন বন্দোবস্তে পিআর পদ্ধতিতে সেই ঝুঁকি আর থাকছে না। দলের পক্ষ থেকে সংসদে আসন নিশ্চিত হবেই। বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে অবস্থায় উপনীত হয়েছে, তাতে  জনগণ মন্জুরুল ইসলামআস্তে আস্তে সবই বুঝতে পারছে। দেশের মালিক জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার ভাগবাঁটোয়ারা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য যতই চেষ্টা করা হচ্ছে, অনৈক্য তত বেশি বাড়ছে। শুধু অনৈক্য নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িও হচ্ছে নির্লজ্জভাবে। এমন অনৈক্যের পরিণাম কী হতে পারে, তা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্ট করেই বলেছিলেন। তিনি সেদিন দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন। ওই দিন রাওয়া কনভেনশন হলে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে সতর্ক করিনি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন; এ দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। ’ নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমেই বলেছিলাম ১৮ মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন। আমার মনে হয় সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ দেশটাকে ইউনাইটেড রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন উনি। উনাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে। উনি যেন সফল হতে পারেন। ’ সামরিক বাহিনীর প্রতি অকারণে বিদ্বেষ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতি আক্রমণ করবেন না। উপদেশ দিন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ’ তাঁর সেই বক্তব্যের পর ছয় মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সেই আশঙ্কামুক্ত আমরা হতে পারছি না। নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি আরও বাড়ছে। ড. ইউনূস নির্বাচনের দিকে হাঁটলেও তাঁর আদরের বিপ্লবীরা তাঁকে পেছন দিকে টানছে। বিপ্লবীরা সরকারের দিকে আঙুল তুলে কথা বলছে। গত মঙ্গলবারও সেনাপ্রধান আবার একইভাবে নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তার পরেও দেশের সাধারণ মানুষের হৃৎস্পন্দন কেন যেন স্বাভাবিক হচ্ছে না। আমাদের দেশমাতৃকার অতন্দ্র প্রহরী সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে একটি মহল ও নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির নেতারা নানান হুমকিধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে তাদের বয়স কম, আমাদের সন্তানের বয়সি। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে। ’ সেনাপ্রধান দায়িত্বশীল মানুষ, তিনি তাঁর অবস্থান থেকে অধীনদের প্রতি অভিভাবকসুলভ বক্তব্য দিয়েছেন। তবে দেশবাসী যা বোঝার বুঝেছে। দেশের সচেতন জনগণ মনে করে, মুখ আছে বলেই সবকিছু বলা উচিত নয়। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব। সবকিছুরই একটা মাত্রা থাকা উচিত।


দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। শহরের লোকজন মেকি ভাব নিয়ে ভালো থাকার ভান করছে। প্রান্তিক মানুষের অবস্থা খুবই শঙ্কিল। গত ১৫ তারিখে ঋণের চাপে, খাবারের অভাবে চরম হতাশায় চারজন লোক আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনা জাতির জন্য কতটা গ্লানিকর তা শুধু বিবেকবানেরাই অনুধাবন করতে পারছেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিকড় গ্রামের ঋণগ্রস্ত মিনারুল ইসলামের সুইসাইড নোট পড়লে চোখ ভিজে যায়।


মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোটে মিনারুল লিখেছেন, ‘আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের কথা। লিখে যাচ্ছি এ কারণে, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাব। এই মরার জন্য কারও কোনো দোষ নেই। কারণ, লিখে না গেলে বাংলার পুলিশ কাকে না কাকে ফাঁসিয়ে টাকা খাবে। আমি মিনারুল প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিনকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। ’ দ্বিতীয় সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এ কারণে যে, আমি একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার বউ, ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো হলো। ’ না খেয়ে, ঋণের দায়ে এভাবে চারজন লোক পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে এটা কারও কাম্য নয়। এমন মৃত্যু গোটা জাতিকে কষ্ট দিয়েছে। মিনারুল যে কাজটি করেছেন, সেটা অন্যায় ও পাপ। আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মিনারুল জেনেশুনেই এমন অন্যায় ও পাপের কাজ করেছেন। গত এক বছরে সারা দেশে শত শত মানুষ মিনারুলে পরিণত হয়েছেন। মিনারুলের পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল, অন্যরা হয়তো এখনো সহ্য করার চেষ্টা করছেন। যিনি সারা জীবন বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন, এখন দারিদ্র্যমোচনে তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে আলোচিত। সেই খ্যাতিমান মানুষ যখন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান তখন তাঁর দেশের মানুষই না খেয়ে ঋণের দায়ে আত্মাহুতি দিচ্ছে, এটা ভাবলেও লজ্জা লাগে, গ্লানিবোধ হয়।


বিখ্যাত আইনজ্ঞ গাজী শামছুর রহমানের বক্তব্য আমার খুব প্রিয় ছিল। তাঁর প্রতিটি কথা ছিল শিক্ষণীয়। দবির ও খবিরের নাম উল্লেখ করে তাঁর আইনি ব্যাখ্যা এখনো মনে গেঁথে আছে। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত একজন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ। তাঁর বক্তব্য শুনলেও বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে তিনি এত কিছু জানেন কীভাবে! এক সেমিনারের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘দেশের কতটা উন্নতি হচ্ছে, কী পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, অর্থনৈতিকভাবে দেশ কতটা সুস্থ আছে তা বোঝা যায় খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন পড়লে। ’ তার পর থেকে আমিও খবরের কাগজে খবরের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের দিকে চোখ রেখেছি। বিজ্ঞাপন দেখে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, অর্থনৈতিক গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করছি। গত এক বছর দেশের উন্নয়ন এবং আর্থিক খাতের জন্য ছিল চরম দুঃসময়। খবরের কাগজ দেখলেই স্পষ্ট হয় যে কোনো বিজ্ঞাপন নেই। ব্যবসাবাণিজ্য নেই। মানুষের হাতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা নেই। গত এক বছরে ৫ শতাধিক শিল্পকারখানা বন্ধ ও রুগ্ণ হয়ে গেছে। শিল্পোদ্যোক্তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র আমানতকারী, শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পথে বসে গেছেন। সবার পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। গণমাধ্যমগুলোর অবস্থাও খুব খারাপ। কারণ দেশের সব গণমাধ্যমই বিজ্ঞাপননির্ভর। ব্যবসাবাণিজ্য না থাকলে, দেশের অর্থনীতি খারাপ থাকলে বিজ্ঞাপন থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। গণমাধ্যম টিকে থাকার লড়াইও এখন সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে সরকার আবার কিছু কিছু গণমাধ্যমের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। পরোক্ষভাবে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করছে। যেমন ৫ আগস্ট ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি। ওই দিন সরকার ২ পৃষ্ঠার বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারের খাতায় প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে থাকা পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি প্রথম সারির পত্রিকায় ওই ক্রোড়পত্রটি দেয়নি তথ্য মন্ত্রণালয়। অথচ ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৭০ এবং ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত ১০০ পত্রিকায় সেই ক্রোড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। কী কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিশেষ ক্রোড়পত্র দেওয়া হয়নি এর কোনো উত্তর জানা নেই। তবে এটা বিস্ময় ও বেদনাদায়ক। বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারের সবাইকে এ বঞ্চনা আহত ও ক্ষুব্ধ করেছে। সব ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার কথা গলা ফাটিয়ে বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তা কি দৃষ্টিকটুভাবে লঙ্ঘিত হয়নি?


রাষ্ট্রের কয়েকটি স্থানের তথ্যের কখনো মৃত্যু হয় না। এগুলো হলো গণমাধ্যম, গোয়েন্দা সংস্থা ও থানা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে এ তিনটির সঙ্গে যারা যেমন আচরণ করবে, এর সমুচিত জবাব কোনো না কোনো সময় তাদের পেতেই হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। গণমাধ্যমের সঙ্গে এখন যারা যেমন আচরণ করছেন, তারা শিগগিরই যথোপযুক্ত প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করুন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও থানায় ব্যক্তির পরিবর্তন হয় কিন্তু তথ্যের ফাইলে পরিবর্তন হয় না। সময়মতো সেই ফাইল কথা বলে। পতিত সরকারের ১৭ বছর নানান চাপে ও প্রভাবে যারা গণমাধ্যম, গোয়েন্দা সংস্থা ও থানাগুলো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন তারা এখন বুঝতে পারছেন কত ধানে কত চাল! আর এখন যারা এ তিনটিকে নানাভাবে চাপে রেখে ব্যবহার করছেন তাদেরও অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।


লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *