Google Alert – সেনাবাহিনী
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবার বিমান হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হুথি-সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভির বরাতে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
বিস্ফোরণের পর শহরের আকাশে ঘন ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান এবং বিমান সহায়তা ইউনিট ব্যবহার করে হুথিদের ‘জেনারেল স্টাফ কমান্ড হেডকোয়ার্টার’ ও তাদের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের ‘কম্পাউন্ড’ লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দাবি করেছেন, এই শক্তিশালী অভিযানে ‘কয়েক ডজন হুথি সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তবে হুথি-ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলায় মাত্র দুজন নিহত এবং আরও ৪৮ জন আহত হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, সানার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে এই বিমান হামলা চালানো হয়। এর একদিন আগে হুথিরা ইসরায়েলের রেড সি উপকূলীয় শহর আইলাতের একটি হোটেলে ড্রোন হামলার দাবি করে। সেই হামলার আগেই ইসরায়েল হুদাইদাহ বন্দরে টানা ১২টি বিমান হামলা চালিয়েছিল। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, সানায় বিমান হামলার সময় টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন হুথি নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি।
নিজের ভাষণে আল-হুথি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে ‘নৃশংস আক্রমণ ও গণহত্যা’ আখ্যা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহারের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় ইসরায়েল আরও উৎসাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সীমিত সামর্থ্য নিয়েও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ চালানো’র জন্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর প্রশংসা করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুথিরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে আসছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে এসব হামলা থামবে না।
এছাড়া লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজেও তারা হামলা চালিয়েছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হেনেছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত ইয়েমেনে ইসরায়েলের এ ধরনের হামলা নতুন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব হামলায় বেসামরিক স্থাপনা, আবাসিক ভবন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চলতি মাসের শুরুতে সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে ইসরায়েলি হামলায় এক সাংবাদিক ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা