সাবেক সেনাপ্রধানের শেষ তিন ইচ্ছা পূরণ, দান করে গেলেন চোখও

Google Alert – সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ (৭৫) মৃত্যুর আগে নিজের শেষ তিনটি ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। তার মৃত্যু পর সেই তিনটি ইচ্ছাই পূরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল চক্ষুদান, রাষ্ট্রীয় সম্মান না নেওয়া এবং পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসের ৩০৮ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে জানাজা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাদ এশা হাটহাজারীর গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

শেষ ইচ্ছা ছিল:

১. মৃত্যুর পর যেন মরদেহ দাফনে দেরি না হয়।
২. যেন পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন করা হয়।
৩. যেন রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান (গার্ড অব অনারসহ) দেওয়া না হয়।

এই তিনটি ইচ্ছার কথা তিনি মাসখানেক আগে তার বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বাহারকে জানান। মৃত্যুর পর কর্নেল বাহার বিষয়টি জানালে তা পরিবারের সদস্যরা মেনে নেন।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র স্টাফ অফিসার মেজর শিহাব জানান, মরহুমের ইচ্ছানুযায়ী জানাজার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়নি। চক্ষুদানের বিষয়েও সন্ধানীকে অবহিত করা হয়েছে।

ডেসটিনি কেলেঙ্কারির এক মামলায় হাজিরা দিতে রোববার চট্টগ্রামে যান সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন। সেদিন রাত কাটান চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে। সোমবার সকালে দীর্ঘসময় তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় রুম খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

উল্লেখ্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *