সাভারে সোনিয়ার কবরে  বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

Samakal | Rss Feed


সাভারে সোনিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার  

2025-07-30

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত লামিয়া আক্তার সোনিয়ার কবরে বিমানবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের আকরাইন বাগনিবাড়ি কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আগে বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার এইচএম আব্দুল বাসেতসহ একটি দল সোনিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিমানবাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেয়। এ সময় আব্দুল বাসেত বলেন, বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনার ভিকটিমদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উইং কমান্ডার বাসেত বলেন, ঢাকায় অবস্থিত বিমানঘাঁটি কোনো প্রশিক্ষণ ঘাঁটি নয়। এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনাল ঘাঁটি। ‎তিনি আরও বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা বিমানবাহিনীর ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। যুদ্ধকালীন অবস্থার জন্য রাজধানীতে এই অপারেশনাল বিমানঘাঁটি থাকা অতি প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ শেষে যখন একজন পাইলট অপারেশনাল পাইলট হিসেবে স্বীকৃত হন তখন তিনি যুদ্ধবিমান পরিচালনা করতে আসেন এখানে। এটাকে প্রশিক্ষণ বলা যায় না। এটা একটা পরিচিতি পর্ব। এ কারণেই কিছু যুদ্ধবিমান দুই পাইলটবিশিষ্ট ভার্সনের থাকে, যেখানে ইনস্ট্রাকশনাল ডিউটি করে পাইলটকে সার্টিফায়েড করা হয়।
নিহত সোনিয়ার বাবার বাড়ি সাভারের বিরুলিয়া। তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে থাকতেন। ঘটনার দিন তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে জায়রাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন সোনিয়া। দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর জায়রাকে অক্ষত অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ ছিলেন সোনিয়া। এর পর দুর্ঘটনাস্থলে সোনিয়ার এনআইডি কার্ড কুড়িয়ে পান এক ব্যক্তি। তিনি জানান, তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় সেনাবাহিনীর এক অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে সোনিয়ার লাশ শনাক্ত হলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিরুলিয়ায় বাবার বাড়ির কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
সোনিয়ার স্বামী আমিরুল ইসলাম জনি বলেন, সোনিয়া ঘটনার ঠিক একটু আগে মেয়েকে ক্লাসের একটি শিট ঠিক করে আনার জন্য শিক্ষকের কাছে পাঠায়। এর পরপরই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। 
সোনিয়ার বাবা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাবুল হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে মেয়েকে অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কোথাও পাচ্ছিলাম না। সবশেষে ডিএনএ টেস্টের জন্য সিআইডির কাছে গিয়ে রক্ত দিয়েছি। এর পর ঢাকা সিএমএইচে মেয়ের লাশ পাই। 

© Samakal

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *