Google Alert – সশস্ত্র
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সোয়েইদায় আজ বুধবার একাধিক সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জেনারেল স্টাফ ভবনের আশপাশে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় চ্যানেল আল-ইখবারিয়া জানায়, ইসরাইলি গোলাবর্ষণে দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। হামলার পরপরই ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দামেস্ককে এখন থেকে আর কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হবে না। যদি বার্তা না বোঝা হয়, তবে হামলার মাত্রা আরো বাড়ানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টা ধরে সোয়েইদায় সরকারি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছি।’
কাটজ বলেন, ড্রুজদের উপর হামলা চালানো বাহিনী যদি নিজেদের প্রত্যাহার না করে, তবে ইসরাইল সোয়েইদায় জোরালো অভিযান চালিয়ে যাবে। দক্ষিণ সিরিয়া শিগগিরই একটি অসামরিকীকৃত অঞ্চল হয়ে উঠবে।’
ইসরাইলি ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের বরাতে জানা গেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী সিরিয়ার জেনারেল স্টাফ সদর দফতরের প্রবেশপথে অভিযান পরিচালনা করেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোয়েইদা ও দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমরা আমাদের ড্রুজ ভাইদের রক্ষার জন্য এবং শাসকগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে কাজ করছি।’
সোয়েইদায় নতুন করে শুরু হওয়া সঙ্ঘর্ষের প্রেক্ষিতে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাহিনী গত সোমবার শহরে প্রবেশ করে। কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় ড্রুজ এবং বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সঙ্ঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করে।
বুধবার ইসরাইলি বিমান বাহিনী সরাসরি সোয়েইদা গভর্নরেটের সরকারি স্থাপনাগুলিতেও বোমা হামলা চালায়, যা সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের সময় সংঘটিত হয়।
উল্লেখ্য, এই হামলাগুলো সিরিয়া-ইসরাইল উত্তেজনার এক নতুন মাত্রা তৈরি করেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে।
সূত্র : আল জাজিরা নেট