সীমান্ত আলোচনার আগে কিছু কাম্বোডিয়ান সেনাকে ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড

Bangla Tribune

থাইল্যান্ডে আটক দুই কাম্বোডিয়ান সেনাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ২০ জনের একটি দলের মধ্যে থেকে শুক্রবার (১ আগস্ট) এই দুই সেনাকে ফেরত পাঠানো হয়। আগামী সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সামরিক কমান্ডাররা বিতর্কিত সীমান্তে যুদ্ধবিরতি রক্ষার লক্ষ্যে আলোচনা করবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্তে চলা উত্তেজনা গত সপ্তাহে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ লড়াই। এই সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৩ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মালয়েশিয়ার প্রচেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোন কলের পর গত সোমবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি না হলে উভয় দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনাও স্থগিত রাখা হবে।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়াকে আগে ৩৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর এখন তারা ১৯ শতাংশ শুল্ক দেবে।

ব্যাংককে থাই সরকারের মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, দুই কাম্বোডিয়ান সেনাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ১৮ জনকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “কাম্বোডিয়ান সেনারা থাই ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং সেনাবাহিনী তাদের আটক করে।”

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় রাজির পর, থাইল্যান্ডের প্রতি সব আটক সেনাদের ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায় কাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে আগামী ৪ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে বৈঠক করবে উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক নেতারা। থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাট্টাফন নার্কফানিত সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা, যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য মোতায়েন সমন্বয় নিয়ে বৈঠক হবে।  

আলোচনা হবে মালয়েশিয়ায়। কারণ থাইল্যান্ড একটি নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক চেয়েছে।

মালয়েশিয়ান সরকারের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিরক্ষা সংযুক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের ৮১৭ কিলোমিটার  স্থলসীমান্তের নির্ধারিত না হওয়া কয়েকটি অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে যা বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু।

গত মে মাসে একটি সংঘর্ষে এক কাম্বোডিয়ান সেনা নিহত হয়। ফলে সৈন্য মোতায়েন বৃদ্ধি ও এক কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়, যা শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের শেষ দিকে পাঁচ দিনের তীব্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *