সেনা অভিযানের সময় ‘ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মগ পার্টির সদস্যের’ মৃত্যু

Google Alert – সেনাবাহিনী

খাগড়াছড়িতে অভিযান চলাকালে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক যুবক মারা গেছেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ওই যুবক ‘মগ লিবারেশন পার্টি-এমএলপি’র সদস্য বলেও দাবি করা হয়েছে।


শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।


নিহত কংচাইঞো মারমা (৩১) মহালছড়ি উপজেলার গড়িয়াছড়ির অংগ্যজাই মারমার ছেলে।


খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “মগ লিবারেশন পার্টির সিন্দুকছড়ির এই সদস্য সপরিবারে শান্তিনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।”


সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনের মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে মগ লিবারেশন পার্টির একজন ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে’ দুটি অস্ত্র্র ও পাঁচটি কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়।


“তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, সকালে সাড়ে ৯টার দিকে তাৎক্ষণিকভাবে মগ লিবারেশন পার্টির শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাইঞো মারমাকে আটক করার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।


“এ সময় কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন শুরু করার সাথে সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাইঞো মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লক্ষ্য করে একটি ফায়ার করে।”


তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “এ সময় কংচাইঞো মারমা পালানোর কোনো পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ছাদ থেকে লাফ দেন। নিরাপত্তা বাহিনী কংচাই মারমার কাছ থেকে একটি ৯ মি.মি পিস্তল ও পাঁচটি গোলাবারুদ উদ্ধার করে।”


পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “হাসপাতালের চিকিৎসক টিপা ত্রিপুরা পরীক্ষা করে কংচাইঞোকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভয়, আতঙ্কে ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।”


কংচাইঞো মারমা এবং ইসমাইল হোসেন চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল মানিকছড়ির ছদুরখীল এলাকার রবি মোবাইল টাওয়ার মেরামত কাজে নিয়োজিত দুই টেকশিয়ান অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে সেনাবাহিনী তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে।


জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, “কংচাইঞো মারমা সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”


ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *