সেনা অভিযানে কেএনএ’র ২ সদস্য নিহত, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

Google Alert – কেএনএফ

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) দুই সদস্য নিহত হয়েছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিহতদের মধ্যে একজন কমান্ডার লালমিনসাং বম ওরফে সাংমিন বম ওরফে পুতিং বম ‘মেজর’ পদমর্যাদার কেএনএ’র সদস্য ছিলেন। অন্যজন কেএনএ’র সাধারণ সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুমা সেনা জোনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন এ সব তথ্য জানান।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাইন্দু ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পলিপ্রাংসা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। পলিপ্রাংসা ও মুয়ালপি পাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় কেএনএ’র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। সেনা অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে কেএনএ’র বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের মরদেহ ও একজন আহত সদস্যকে আটক করা হয়।

এ সময় তিনটি এসএমজি, একটি চাইনিজ রাইফেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৩৭ রাউন্ড গুলি, ইউনিফর্ম, মোবাইল ফোন ও ওয়াকিটকিসহ ৫২ ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন বলেন, “সেনাবাহিনীর এই অভিযান কেবল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ের স্থানীয় শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। তারা যেমন বাংলাদেশের নাগরিক, আমরাও তেমনই। তাদের জানমাল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।”

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) দাবি করে কেএনএ তাদের সশস্ত্র শাখা।

বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে কেএনএফ সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করে। সমতলের আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামের একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ ওঠে কেএনএফের বিরুদ্ধে। তখন ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হয়েছেন। কেএনএফেরও বহু সন্ত্রাসী হতাহত হয়। 

কেএনএফ সন্ত্রাসীরা গত বছরের ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে। রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। তখন নিরাপত্তা বাহিনী কেএনএফের সন্ত্রাস দমনে জোরালো অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *