সেনা অভিযান দেখে তিন তলা থেকে লাফ মগ লিবারেশন পার্টির প্রধান নিহত

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

সেনা অভিযান টের পেয়ে নিজেকে বাঁচাতে তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) প্রধান কংচাই ঞো মারমা (৩৪) নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির শান্তিনগর ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন এলাকার রনজিত দের বাসায় সেনাবাহিনী অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কংচাই মগ লিবারেশন পার্টি নামক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রধান বলে জানা গেছে। তার বাড়ি মানিকছড়ি উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকায়। তিনি খাগড়াছড়ি ওই এলাকার জনৈক রঞ্জিত দের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছিলেন।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সেনা অভিযান টের পেয়ে তিনি বাসা থেকে লাফ দিলে গুরুতর আহত হন। সে অবস্থাতেই তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কংচাইকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন সিন্দুকছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন শাইয়েন কাদিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল। টের পেয়ে অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর তিন রাউন্ড গুলি হয়। এ সময় মগ লিবারেশন পার্টির প্রধান কংচাই অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে তিনতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পাশের বাড়ির কচু বাগানে পড়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা আহত অবস্থায় আটক করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৬টায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় সেনাবাহিনী সিন্দুকছড়ি জোনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেনকে দুটি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরে গ্রেফতার হওয়া ইসমাইলের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শান্তিনগর এলাকায় আরেকটি অভিযান চালানো হয়। সেখানে শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাই ঞো মারমা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, পাঁচটি এলজি, ২১টি কার্তুজ ও ১৮টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। কংচাই মারমা খাগড়াছড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকা- ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাস দমনে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *