Google Alert – সেনাপ্রধান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি সেনা মোতায়েন চেয়ে স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দেওয়ার কথা বুধবার (২০ আগস্ট) নিশ্চিত করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম।
রাশিদুল আলম বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন, এর আগের দিন এবং পরের দিন সেনা মোতায়েনের জন্য সেনাপ্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মূলত সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার কথা জানিয়েছি। এখনও সাড়া পাইনি। তবে আমরা আশাবাদী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রে এখন বিশেষ পরিস্থিতি চলছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীরও ম্যাজিস্ট্র্যাসি পাওয়ার আছে। নির্বাচন কমিশন সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী থেকে সহযোগিতা চেয়েছে। শুধু সেনাবাহিনীই না বরং পুলিশ, র্যাব, আনসারের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছি আমরা।’
এ বিষয়ে জাকসুর ভোটার শোয়াইব হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনী কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে আমাদের জানাতে হবে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে তাদের নির্বাহী ক্ষমতা কেমন হবে সেটাও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন আছে।
জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তত দুবার পিছিয়ে আসে। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জানুয়ারি একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে নানা ঘটনার পর ৩০ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল জুলাইয়ের ৩১ তারিখ। পরে তা পেছানোর পর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। সে তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে যেকোনো পদে মনোনয়নপত্রের দাম ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৮৭টি এবং হল সংসদের জন্য ২৪১টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শিক্ষার্থীরা।