সেন্টমার্টিনের ১৮ মাঝিমাল্লাসহ ৩ ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

Google Alert – আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গত রবিবার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সেন্টমার্টিনের ‘সীতা’ পয়েন্ট থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিনের তিনটি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

আটকৃত জেলেরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, মো. আবদুর রহিম, মো. আলম, মো. সব্বির, মো. তৈয়ুব, আবু তাহের, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর সিদ্দিক, সৈয়দ উল্লাহ, মো. রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, আবদুল মতলব, হাফেজ আহমেদ, নুরুল হোসেন ও সালা উদ্দিন। তারা সবাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আরাকান আর্মি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনো কারণ ছাড়া আমাদের জেলেদের হুটহাট ধরে নিয়ে যায়। একদিকে দ্বীপে নানা সংকট, আরেকদিকে আরাকান আর্মি আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। কিভাবে এ সংকটের মধ্যে আমরা দিনযাপন করবো জানিনা।

হাসেম উল্লাহ নামে এক জেলে বলেন, মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মি আমাদের জেলেদের দিকে চেয়ে থাকে। কোনো কিছু না বলে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়। আজ আরাকান আর্মি স্পিড বোটে এসে ধাওয়া করে আমাদের ৩টি ট্রলার ও ১৮জন মাঝিমাল্লা ধরে নিয়ে যায়।

এদিকে গত ২৯ আগস্ট আইনের তোয়াক্কা না করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশকারী বাংলাদেশি ১২২ জেলেসহ ১৯টি ফিশিং বোট আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। তাদের সতর্কতায় আরাকান আর্মির হাত থেকে রক্ষা পেল জেলেরা। তবে জেলেরা তাদের অসতর্কতার কারণে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জেলেদের দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৫৫ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার ও নৌকা ফেরত আনা হয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনে ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *