হামলায় বিরতির ঘোষণা দিয়ে গাজায় ৬৩ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল

Google Alert – সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে সাময়িক হামলা বিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে এই ঘোষণা কার্যকর হওয়ার পরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল ফের বিমান হামলা শুরু করে। এতে রোববার (২৭ জুলাই) গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

স্থানীয় সময় রোববার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাজার তিনটি এলাকায়—আল-মাওয়াসি, দেইর এল-বালাহ ও গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবে। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে খাদ্য ও চিকিৎসা কনভয়ের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখার কথাও জানানো হয়।

 

কিন্তু এই ঘোষণার পরেও গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, যা ছিল ঘোষিত ‘নিরাপদ এলাকা’র মধ্যে। আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি দেইর এল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে একটি বেকারিকে লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই এলাকায় হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

বিশ্লেষক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই ‘মানবিক বিরতি’ ছিল আন্তর্জাতিক চাপ সামলানোর কৌশল মাত্র। গাজায় চরম খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

 

উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েল প্রথমে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করলেও মে মাসের শেষদিকে সীমিত আকারে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। একইসঙ্গে আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ এবং কিছু এলাকায় মানবিক করিডোর চালুর ঘোষণা দেয়। কিন্তু এসব ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের।

 

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ২ মার্চ ভেঙে পড়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ, যাদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *