হামাস যুদ্ধবিরতিতে সায় দিলেও হামলা চলছেই

Samakal | Rss Feed


হামাস যুদ্ধবিরতিতে সায় দিলেও হামলা চলছেই

বিশ্ব

অনলাইন ডেস্ক

2025-08-20

গাজার জন্য কাতার ও মিসরের পেশ করা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই প্রস্তাবে ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কূটনীতিক এবং একজন মিসরীয় কর্মকর্তা সোমবার যুদ্ধবিরতির ওই তথ্য জানান। গাজা শহর দখলে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর আগেই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশ দুটি। এর মধ্যেই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। 
 
ওই দুই কর্মকর্তা জানান, নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারা মনে করেন, নতুন চুক্তির শর্তগুলো তাই আছে, যা আগেও ইসরায়েল মেনে নিয়েছিল। আগের চুক্তিতে ইসরায়েল শর্ত দিয়েছিল, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় থাকা অর্ধেক সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। পরে আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট জিম্মি মুক্তি পাবে। সিএনএন জানায়, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মিসর ও কাতারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। 

আলজাজিরা জানায়, হামাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ‘প্রস্থান কৌশল’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক আদনান হায়াজনেহ বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ ইঙ্গিত দেয়, এটি হামাসের প্রস্থান কৌশল হতে পারে। 

গতকাল মঙ্গলবার গাজা শহরে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। শহরের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েল ব্যাপক অনাহার বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মানবাধিবার গোষ্ঠীগুলো গাজায় চিকিৎসা ভিসা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে

গতকাল ভোর থেকে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৬ জন। গত ২২ মাসে অন্তত ৬২ হাজার চার ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৫৬ হাজার ২৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল ক্ষুধা-অপুষ্টিতে তিন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে ১২২ শিশুসহ ২৬৬ জনের মৃত্যু হলো ক্ষুধায়। 

 
 
 

© Samakal

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *