হিন্দুকুশ হিমালয় পার্লামেন্টারিয়ানস মিট ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌছেছে। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া হিন্দুকুশ হিমালয় (এইচকেএইচ) পার্লামেন্টারিয়ানস মিট ২০২৫-এ অংশ নেবে দলটি।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। এই সম্মেলনে নেপাল, ভারত, চীন, ভুটান, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকেও সংসদীয় প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।

নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল প্রধান অতিথি হিসেবে সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। নেপালের স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে বিশেষ অতিথি হবেন। উদ্বোধনী অধিবেশন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। এতে আরও উপস্থিত থাকবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অরণ্য ও পরিবেশ মন্ত্রী, এবং আইসিমড মহাপরিচালক পেমা গায়মাত্সোসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষ অতিথিরা।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)-এর সহায়তায় আয়োজিত এই ‘এইচকেএইচ পার্লামেন্টারিয়ানস মিট ২০২৫’-এর লক্ষ্য হলো সংসদ সদস্যদের জন্য একটি আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। এর মাধ্যমে তারা হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন। সেইসাথে আলোচনা করবেন জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, দূষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সংসদীয় অভিজ্ঞতা ও শ্রেষ্ঠ চর্চা বিনিময় করা হবে, যা ভবিষ্যৎমুখী নীতি নির্ধারণে সহযোগিতা করবে।

যেহেতু সংসদ সদস্যরা নীতি নির্ধারণ, আইন প্রণয়ন এবং জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তাই এই সম্মেলনের মাধ্যমে তাদেরকে জ্ঞান, প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হবে। এতে তারা পর্বতবান্ধব, জলবায়ু বান্ধবব এবং সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারণা চালাতে সক্ষম হবেন— জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিসরে।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাশা করা হচ্ছে সংসদ সদস্যরা— পর্বত ও জলবায়ু ইস্যুতে আরও কার্যকরভাবে পক্ষসমর্থন ও প্রচারণা চালাতে সক্ষম হবেন। সেইসাথে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি, পরিকল্পনা ও আইন প্রণয়নে সহায়ক হবেন তারা।
এই সম্মেলনে একটি স্থায়ী এইচকেএইচ পার্লামেন্টারিয়ানস প্ল্যাটফর্ম গঠনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা হবে, যা সংলাপ, সহযোগিতা ও যৌথ সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

/এএইচএম

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *