Kalbela News | RSS Feed
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ১৪ বছর পর খালাস পেয়েছেন চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ আটজন।
সোমবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু হান্নান এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া বাকি সাত আসামি হলেন, মাহফুজুর রহমান, আবুল ফাত্তাহ, আবুল কালাম, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা নোমান, মাওলানা সাব্বির ও আবদুল্লাহ আল আমিন।
২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাউজান রাবারবাগান গোদারপাড় এলাকার পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার দাবি করে র্যাব। সেদিন ঘটনাস্থল থেকে ধর্মীয় বইসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই ঘটনায় মুফতি ইজহারসহ আটজনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ এনে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বিস্ফোরক মামলাটি চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
রায়ের পর মুফতি ইজহারের পক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘১৪ বছর ধরে বিচারের নামে অবিচার চলেছে। এটা ভুয়া মামলা। র্যাব তৎকালীন সরকারপ্রধানের নির্দেশে এই জঙ্গি নাটক সাজায়। গোপন সংবাদের কথা বলে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে রাউজানের রাবারবাগানে জঙ্গি আস্তানার গল্প বানায়।’
তিনি বলেন, ‘রাতভর গোলাগুলি হলেও সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। শুধু কয়েকটি ধর্মীয় বই, কিছু ব্যাটারি আর কিছু যন্ত্রপাতি উদ্ধার দেখানো হয়। এরপর বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা হয়।’
সাত্তার বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল তারা অনেক আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। কেউ এক মাস, কেউ দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সে সময় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও এসেছিল।’
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলে তিনি বলেন, ‘মোট তিনজন সাক্ষী এসেছেন। বাকি সাক্ষীরা কেউ আসেননি, কারণ মামলায় কোনো সত্যতা ছিল না।’