চ্যানেল আই অনলাইন
শুধুমাত্র ২০২৪ সালে রেকর্ড ৩৮৩ জন সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই পরিসংখ্যান ও জবাবদিহিতার অভাবকে আন্তর্জাতিক উদাসীনতার ‘লজ্জাজনক অভিযোগ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি সতর্ক করছে যে, এই বছরে হতাহতের সংখ্যাও একই রকম উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ব মানবতা দিবসে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি।
সংস্থাটি জানায়, গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে ১৮১ জন মানবতাবাদী কর্মী নিহত হন। এছাড়া সুদানে ৬০ জন মানবতাবাদী কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো দায়ী ছিল।
জাতিসংঘ জানায়, নিহতদের বেশিরভাগই স্থানীয় সহায়তা কর্মী এবং কর্তব্যরত অবস্থায় তারা প্রাণ হারান অথবা নিজ বাড়িতে আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যান। গত বছর নিহতদের পাশাপাশি ৩০৮ জন সাহায্য কর্মী আহত, ১২৫ জন অপহৃত ও ৪৫ জনকে আটকও করা হয়।
জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থার প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, একজন মানবিক সাহায্যকর্মীর ওপর একটি আক্রমণ মানে আমাদের সকলের ওপর আক্রমণ। এমনকি এই আক্রমণ আমরা যাদের সেবা করি, তাদের ওপরও আক্রমণ। এই মাত্রার আক্রমণ, যেখানে কোনও জবাবদিহিতা নেই, আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার লজ্জাজনক উদাহরণ।
টম ফ্লেচার বলেন, মানবিক সম্প্রদায় হিসেবে আমরা আবারও দাবি করছি- ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালীরা মানবতার জন্য কাজ করুন, বেসামরিক নাগরিক ও সাহায্য কর্মীদের সুরক্ষা দিন এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করুন।
এইড ওয়ার্কার সিকিউরিটি ডাটাবেসের অস্থায়ী পরিসংখ্যান দেখায়, ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এই বছর ২৬৫ জন সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ পুনর্ব্যক্ত করছে, সাহায্য কর্মী এবং কার্যক্রমের ওপর আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধ ও দুর্যোগ অঞ্চলে আটকা পড়া লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষাসূচকের রেখাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।