Google Alert – সেনাপ্রধান
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বর্তমান আইন অনুযায়ী নভেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সামা টিভির ‘নাদিম মালিক লাইভ’ অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, আইনের সংশোধনের পর নতুন কোনো নোটিফিকেশন প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘যেদিন এয়ার চিফ তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবেন, সেদিন তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবসর নেবেন।’
সেনাপ্রধানের কর্মদক্ষতা প্রসঙ্গে রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্য তাকে এই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী করে তোলে। আইন অনুযায়ী মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব, এবং অতীতে একাধিকবার এটি ঘটেছে—কিছু ব্যক্তি নিজেই মেয়াদ বাড়িয়েছেন।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, বর্তমান ব্যবস্থা আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের কারণে নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ।
আগাম নির্বাচন হবে না
তিনি আরও জানান, সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-ন (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরীফের অনুমোদনে। রানা সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদ ২০২৯ পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করবে এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতার রাজনৈতিক দাবি বাস্তবসম্মত নয়। তিনি বলেন, সরকার আলোচনার জন্য উন্মুক্ত, যদি পিটিআই নেতা জেল থেকে বা বাইরে থেকে রাজনীতি করতে চান।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন, আর পিটিআই নেতা নাগরিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছেন। রানা সানাউল্লাহ পুনরায় বলেন, ৯ মে ঘটে যাওয়া ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, বরং যুদ্ধের চেষ্টা ছিল।
অর্থনীতি ও নীতি সংক্রান্ত মন্তব্য
অর্থনৈতিক বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, নতুন প্রদেশ গঠনের কোনো আলোচনা নেই। তবে আর্থিক ভারসাম্য ঠিক করতে জাতীয় অর্থনৈতিক ফোরামের (এনএফসি) পুরস্কার সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর আর্থিক চাপের মুখে রয়েছে, কিন্তু প্রদেশগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বেশি, তাই সমস্যার সমাধানের জন্য সম্মতি তৈরি করা হবে।