The Daily Ittefaq
কক্সবাজারের টেকনাফে টমটম চালানো এক স্কুলছাত্রী (শিক্ষার্থী) মো. রিয়াজকে অপহরণ করা হয়েছে; তিন দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ১২ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে পরিবার জানিয়েছে।
ভিকটিম মো. রিয়াজ হ্নীলা-জাদিমুড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে এবং লেদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, রিয়াজ গত ২১ অক্টোবর বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর জীবিকার তাগিদে টমটম (ইজিবাইক) নিয়ে বের হয়। সন্ধ্যায় ফেরে না; এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করলে কোনো হদিস মেলেনি। পরে পরিবার টেকনাফ থানায় অভিযোগ করে।
রিয়াজের পিতা আব্দুর রশিদ বলেন, দু’দিন পর দিবাগত রাতে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয়—তোমার ছেলে রিয়াজকে জীবিত রাখতে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে, না হলে তাকে হত্যা করা হবে। আমরা গরীব, দিনমজুরি করেই সংসার চালাই; এতো টাকা কোথা থেকে দেব, তাই এখন পর্যন্ত উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
জাদিমুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, এখানে অপহরণ ও ডাকাতি দিন দিন বাড়ছে। আমাদের পেছনে আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ঘন পাহাড়। কারো অপহরণ ঘটলে সাধারণত মুক্তিপণ না দিলে উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়ে। রিয়াজ পড়াশোনার পাশাপাশি টমটম চালাত এ কারনেই হয়ত তাকে টার্গেট করা হয়েছে।
লেদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার জামাল উদ্দিন জানান, রিয়াজ আমার স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। তাকে অপহরণ কারিদের কবল থেকে মুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. আলী জানান, টেকনাফে প্রতিনিয়ত অপহরণ বাণিজ্য চলছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা দেখছি না। স্কুল ছাত্র রিয়াজ কে উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত অভিযান ও সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
