The Daily Ittefaq
চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটিএ লাইন-১) কাজ বন্ধ রয়েছে। উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা ও আফতাবনগরে ডিএমপি (ট্রাফিক) বিকল্প সড়ক ব্যবহারের শর্ত দেওয়ায় এই তিন এলাকায় প্রকল্পের ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজ আটকে আছে। এর ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের পাশাপাশি ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পে ১২টি পাতাল স্টেশন ও ৭টি উড়াল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পাতাল লাইন এবং নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত উড়াল লাইন নির্মাণের কাজ চলছে।
প্রকল্প দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইসিবি ইউটিলিটি স্থানান্তরের দায়িত্বে রয়েছে। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং নদ্দা স্টেশনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা ও আফতাবনগর স্টেশনে কাজ বন্ধ রয়েছে। ডিএমপি (ট্রাফিক) বিকল্প সড়কের শর্ত দেওয়ায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এসব এলাকায় স্থানান্তর কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঢাকা ওয়াসার ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’-এর পাইপলাইন স্থাপন কাজও একই কারণে বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউটিলিটি স্থানান্তরে বিলম্ব হলে মূল ঠিকাদার নিয়োগ এবং দাতা সংস্থা জাইকার অনাপত্তি সনদ পাওয়া কঠিন হবে। এতে শুধু প্রকল্পের মেয়াদই নয়, প্রাইস এস্কেলেশনের কারণে ব্যয়ও বাড়তে পারে।
ফলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে ঠিকাদার নিয়োগের আগে ইউটিলিটি স্থানান্তর শেষ করা জরুরি। এ জন্য ডিএমপি, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।