RisingBD – Home
মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসছে সুখবর। তারা পেতে যাচ্ছেন ‘গ্রাজুয়েট প্লাস’ ভিসা। এতে হাজারো শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার সম্প্রসারিত অর্থনীতিতে উচ্চ দক্ষতার চাকরির সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ায় দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আবদুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ বেলা ১১টার দিকে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।
আইন, বিচার ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। নীতিগতভাবে তিনি মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রাজুয়েট প্লাস ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তবে নীতিমালা কার্যকর করতে উভয় পক্ষকে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।” বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
এখন প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। যদিও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ পান, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এতদিন এ সুবিধা ছিল না।
এর আগে বুধবার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ওয়াইবি ফাদলিনার সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি সম্প্রসারণসহ শিক্ষা সহযোগিতা জোরদারের নানা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের ডিগ্রি মালয়েশিয়ায় স্বীকৃতির আহ্বান জানান।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ কর্মসূচি নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করা এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি যদি দারিদ্র্যহীন বিশ্বের কল্পনা না করেন, তবে তা ঘটবে না।” তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান আত্মঘাতী নয়, এমন এক সভ্যতা গড়তে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।