Google Alert – ইউনূস
নিজের কোনও ইচ্ছা সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেন না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে সেখানকার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বেরনামাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি নিজের কোনও কিছু চাপিয়ে দিই না। আমি সাধারণ মানুষের চাওয়া দেখার জন্য অপেক্ষা করি। এরপর সেটা বাস্তবায়নে সাহায্য করি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইবরাহিমের চলতি মাসের ১১ থেকে ১৩ তারিখ মালয়েশিয়া সফর করেন ড. ইউনূস। সে সময় দেওয়া সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রকাশ করেছে বেরনামা। এতে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া, সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করা তার মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
দেশে যা হচ্ছে (সংস্কার কার্যক্রম), কোনও কিছুই তার স্বার্থে নয় বরং জনস্বার্থে দাবি করে ড. ইউনূস বলেন, এসব পরিবর্তন সাধারণ মানুষই চায়। তারা যেভাবে পরিবর্তন চায় আমি সেভাবে কেবল সাহায্য করছি।
ড. ইউনূস নিজেকে নেতা নয়, বরং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে মনে করেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে যে উৎখাত হওয়া রাজনৈতিক শক্তি পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
স্বৈরাচারী শাসন ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের অনেকেই গত ১০ থেকে ১৫ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এবার সবাই তাদের নিজস্ব ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাবুন, আপনার বয়স ১৮ বছর এবং আপনি ভোট দেওয়ার জন্য উদ্দীপ্ত। কিন্তু ঠিকঠাক মতো নির্বাচন কখনও হয়নি বিধায় আপনি ভোট দেওয়ার সুযোগও পাননি। তবে ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তারা এবার ভোট দেবে।