Bangla Tribune
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর মস্কোর শীর্ষ রাজনীতিকরা একে রাশিয়ার কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন। তাদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থান আরও শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার শাসক দল ইউনাইটেড রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা আন্দ্রে ক্লিশাস বলেন, আলাস্কা বৈঠক প্রমাণ করেছে রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদি ও ন্যায্য শান্তি চায়।
তিনি বৈঠককে রাশিয়ার জন্য সাফল্য এবং ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেন। তার কথায়, বিশেষ সামরিক অভিযান (এসএমও)-এর লক্ষ্য সামরিক কিংবা কূটনৈতিক যেকোনও পথেই পূরণ হবে। ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার নতুন স্থাপত্য এখন আলোচনার টেবিলে এবং সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।
শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে হওয়া বহুল প্রতীক্ষিত এই সম্মেলনে যুদ্ধ বন্ধ বা বিরতির বিষয়ে কোনও সমঝোতা হয়নি। তবে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর পুতিন ও ট্রাম্প দুজনেই এটিকে ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেন। বৈঠকের পর তারা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ বিমানে ফিরে যান।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, আলোচনাটি প্রমাণ করেছে কোনও শর্ত ছাড়াই আলোচনার সুযোগ আছে, যেমনটা মস্কো বরাবরই দাবি করে আসছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ওয়ান এ সম্মেলনের জমকালো আয়োজন, পুতিনকে দেওয়া অভ্যর্থনা ও বিশ্বমাধ্যমে তার প্রতিফলনকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে।
রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান কনস্তানতিন কোসাচেভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, আলাস্কা বৈঠক, এর পরিবেশ ও ফলাফল দুজন প্রেসিডেন্টের জন্যই যৌথ সাফল্য। তারা দুজনেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সময়োপযোগী সেরা ফল নিশ্চিত করতে।
তবে সবাই এতটা আশাবাদী নন। যুদ্ধের সমর্থক টেলিগ্রাম চ্যানেল ওয়ার গনজো-র একজন ব্লগার লিখেছেন, বৈঠকে কোনও দৃশ্যমান ফল আসেনি। শুধু আয়োজনটাই প্রধান ঘটনা।
তিনি বলেছেন, আবার যদি ইউক্রেনীয় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা আবার শুরু হয়, ট্রাম্পের সুযোগ থাকবে পুতিনকে আবার অর্থহীন কথা বলার অভিযোগ আনার, নিষেধাজ্ঞা আরোপের এবং নতুন আলোচনার প্রক্রিয়া ভেঙে দেওয়ার। অন্যদিকে, রাশিয়া কি অন্তহীন আলোচনার কারণে তার বিশেষ সামরিক অভিযান বন্ধ করবে?