Google Alert – বাংলাদেশ
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারের নানা সুবিধা পেয়েও মানসম্মত এয়ারলাইনসে পরিণত হতে পারেনি।
অবকাঠামো, উড়োজাহাজ কেনা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের একচেটিয়া সুবিধা সবকিছুই পেয়েছে সংস্থাটি, তবু বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি, ফ্লাইট বাতিল, সূচি পরিবর্তন, ভাড়া বেশি রাখা, খাবার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সমালোচনায় পড়েছে।
যাত্রী সন্তুষ্টির ভিত্তিতে লন্ডনের প্রতিষ্ঠান স্কাইট্র্যাক্স ২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ এয়ারলাইনের তালিকায় বিমানের নাম রাখেনি।
দক্ষিণ এশিয়ায়ও বিমান পিছিয়ে আছে। যাত্রীসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিমান এখনো তিন তারকা এয়ারলাইনসের স্বীকৃতি ধরে রেখেছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে ১৯টি উড়োজাহাজ আছে, যা দিয়ে ২২টি আন্তর্জাতিক ও সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালায়।
তবু যান্ত্রিক ত্রুটি ও ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা বিমানে আস্থা পাচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫৪ বছরে বিমানকে আধুনিক ও যুগোপযোগী এয়ারলাইনস হিসেবে গড়ে তোলা যায়নি। দক্ষ জনবল ও পেশাদার ব্যবস্থাপনার অভাবেই এ অবস্থা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিমান ২৮২ কোটি টাকা মুনাফা দেখালেও প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার দেনায় ডুবে আছে।
নতুন সরকার গঠিত টাস্কফোর্স বলছে, বিমান কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে ব্যর্থ হলে এর অর্ধেক সম্পদ দিয়ে নতুন একটি এয়ারলাইনস গঠন করা হবে।
অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে যাত্রীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু বিমান সেই বাজার দখল করতে পারছে না।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ইসলামপন্থীদের নিয়ে পাল্টা কৌশল নিচ্ছে বিএনপি‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামপন্থী দল ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে।
৫ই অগাস্টের ঘটনার পর থেকে দক্ষিণপন্থী শক্তি ও ইসলামপন্থীদের উত্থান বিএনপিকে চিন্তায় ফেলেছে।
আওয়ামী লীগ কার্যত রাজনৈতিক মাঠে অনুপস্থিত থাকায় বিএনপি আশঙ্কা করছে, ইসলামপন্থীরা যদি একজোট হয় তবে তারাই মূল প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এ কারণে হেফাজতে ইসলামের আমির, বিভিন্ন মাদ্রাসার শীর্ষ আলেম ও খানকা শরিফের পীরদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন বিএনপির নেতারা।
লক্ষ্য হলো দোয়া, সমর্থন ও ভোটের সময় সহযোগিতা পাওয়া।
অন্যদিকে ইসলামপন্থীদের মধ্যেও ভোট একত্র করার চেষ্টা চলছে। চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সঙ্গে থাকতে পারে জামায়াতে ইসলামীও।
তবে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতের ঐতিহাসিক মতবিরোধ থাকায় এ সমঝোতা টিকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত কিছু দল বিএনপির সঙ্গেই যাবে।
বিএনপি সূত্র বলছে, জামায়াতের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য ইসলামি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে তারা প্রস্তুত।
যদিও জামায়াত দীর্ঘদিন বিএনপির মিত্র ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ইসলামপন্থীদের ঐক্য সফল হোক বা না হোক, বিএনপি চায় না তারা প্রতিপক্ষ হয়ে উঠুক।
তাই এখন সব ধরনের ইসলামি দল ও নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোই বিএনপির মূল কৌশল।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে। এই খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে।
এতে সনদের পটভূমি, ঐকমত্যে হওয়া ৮৪টি বিষয় এবং আটটি অঙ্গীকার উল্লেখ আছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি বৈধতা দেওয়া হবে এবং এর যেকোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের ওপর থাকবে।
অঙ্গীকারে বলা হয়েছে, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
সনদের সব প্রস্তাব সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করা হবে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার-আহতদের সহায়তার প্রতিশ্রুতিও এতে আছে।
এছাড়া অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
তবে বামপন্থী কয়েকটি দল সনদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের মতে, সনদের কিছু ধারায় সাংঘর্ষিক বক্তব্য রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা হবে। এই সনদের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘জুলাই সনদের বৈধতার প্রশ্ন তোলা যাবে না আদালতে‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-কে মূলত বাংদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার এক ঐকমত্য দলিল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
খসড়ায় উল্লেখ আছে, সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি বৈধতা দেওয়া হবে, এর বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং যেকোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার এখতিয়ার থাকবে কেবল সুপ্রিম কোর্টের।
পটভূমিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হলেও পরবর্তী পাঁচ দশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে।
বিশেষ করে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে ব্যবহার করা হয়, বিরোধীদের দমন করা হয় এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণের ঐক্য স্বৈরাচারকে পরাজিত করে।
এখন রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা পুনর্গঠন এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই সনদকে ভিত্তি ধরা হচ্ছে।
জুলাই অগাস্ট অভ্যুত্থানের পর জনগণের মননে রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের এক প্রবল অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রসংস্কার, বিশেষ করে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার, ধসে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন ও বিধি-বিধানের সংস্কার, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসিত জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার সদ্ব্যবহার করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Major reform proposals dissented by BNP, allies‘ অর্থাৎ, ‘বিএনপি ও তার মিত্রদের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐক্য কমিশন (এনসিসি) শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই ন্যাশনাল চার্টার ২০২৫–এর খসড়া পাঠিয়েছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ৩০টির বেশি দলের সঙ্গে আলোচনার পর এই নথি সর্বসম্মতভাবে তৈরি করা হয়েছে।
তবে খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিএনপি ও কয়েকটি দল নানা সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত দিয়েছে।
খসড়াটি তিন ভাগে বিভক্ত, সংস্কারের প্রেক্ষাপট, ৮৪ দফা সংস্কার প্রস্তাব এবং একটি অঙ্গীকারনামা।
এর মধ্যে বড় কিছু বিষয়ে বিএনপি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ১২-দলীয় জোটসহ আরও কয়েকটি দল আপত্তি তুলেছে।
তাদের আপত্তির মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপতির একক ক্ষমতায় বিভিন্ন কমিশনের প্রধান নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একসঙ্গে না থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া, সংসদে উচ্চকক্ষ গঠন ও নারীদের প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, এবং সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটদানের সুযোগ।
বিশেষ করে ধারা ৭০ সংশোধন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও বিএনপি ও মিত্ররা দ্বিমত করেছে।
অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, এই চার্টার জনগণের সর্বোচ্চ ইচ্ছার প্রতিফলন এবং সংবিধানের ঊর্ধ্বে থাকবে।
তবে প্রাথমিক খসড়ায় যে সময়সীমা ছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন দলগুলোকে তিন দিনের মধ্যে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৫ই অগাস্ট ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান।
ঘটনার পর পুলিশ তাকে নিয়ে যায় এবং পরদিন আদালতে হাজির করে। পুলিশ দাবি করেছে, আজিজুরকে এক বছর আগের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলাটি করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ৪ ঠা অগাস্ট ঢাকার সাইন্সল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ আরিফুল ইসলামের ঘটনায়।
আরিফুল ওই সময়কার আন্দোলনে আহত হয়ে পরে সুস্থ হয়ে উঠেন এবং চলতি বছরের এপ্রিলে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তবে আজিজুর কীভাবে আসামির তালিকায় এলেন তা স্পষ্ট নয়।
শনিবার আদালতে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানায়। আজিজুরের আইনজীবী জামিন চাইলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মারধরের পর আজিজুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন বলেই ফুল দিতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরো জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরানো বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, নিজের আয়ের টাকায় কেনা ফুল নিয়েই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা এক সাধারণ রিকশাচালক কীভাবে পুরোনো আন্দোলনের সহিংস মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হলেন।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Trump-Putin summit ends without ceasefire, peace deal still in play’ অর্থাৎ, ‘যুদ্ধবিরতি ছাড়াই ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলন শেষ, শান্তি চুক্তি এখনও ঝুলে আছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অলাস্কায় বহু আলোচিত ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক শেষ হলেও যুদ্ধবিরতি হয়নি, তবে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা এখনো খোলা আছে।
আলাস্কায় তিন ঘণ্টার এই শীর্ষ বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন বলেছেন আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তির পথে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে, কারণ রাশিয়া একটি বড় শক্তি।
তবে পুতিন তার অবস্থানে অনড় রইলেন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেননি। জেলেনস্কি অবশ্য ট্রাম্পের প্রস্তাবিত তিনপক্ষীয় আলোচনায় রাজি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে তারা নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখবেন।
তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউক্রেনকে দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড়তে চাপ দেবে। যদিও বৈঠকে এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলা হয়নি।
এদিকে যুদ্ধের ভয়াবহতায় ইতিমধ্যেই এক মিলিয়নের বেশি মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকও আছে।
শান্তিচুক্তি হলে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রশ্ন উঠবে। এ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি, তবে নেটো ধাঁচের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে বোরোর রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে এবং সরকারের গুদামেও প্রচুর চাল মজুত আছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম কমছে।
তবুও দেশের বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মোটা, মাঝারি ও সরু সব ধরনের চালের দাম কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এখন মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার বেশি, মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং সরু চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। ব্র্যান্ডেড ভালো মানের চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমি ও করপোরেট কোম্পানিগুলো কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনে মজুত করছে, ফলে সাধারণ মিলার ও ছোট ব্যবসায়ীদের হাতে ধান-চাল নেই।
এতে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত থাকার পরও এ পরিস্থিতি কেবল করপোরেট সিন্ডিকেটের কারণে।
ভোক্তা সংগঠনগুলোও বলছে, সরকারের মনিটরিং দুর্বল হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে উল্টো বেড়ে মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র হয়েছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
তবে সরকার আশা করছে, চার লাখ টন চাল আমদানি, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ফলে বাজার স্থিতিশীল হবে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করলে দামের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো সম্ভব নয়।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Dhaka set to soar as developers have their way‘ অর্থাৎ, “ডেভেলপারদের চাপে ঢাকায় আকাশছোঁয়া ভবনের যুগ শুরু”।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন আসছে। সরকার ডেভেলপারদের দাবির মুখে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) বা জমির ওপর কতটা ফ্লোর স্পেস তৈরি করা যাবে তার সীমা বাড়িয়েছে।
এর ফলে খিলক্ষেত, মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, বাসাবো-খিলগাঁওয়ের মতো এলাকায় পূর্বের তুলনায় ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত এফএআর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর মানে হলো একই জমিতে এখন আরও উঁচু ভবন করা যাবে। যেমন খিলক্ষেতের একটি পাঁচ কাঠার প্লটে আগে পাঁচতলা বানানো যেত, এখন নয়তলা পর্যন্ত করা যাবে।
তবে ধানমন্ডি, গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় সামান্য কমানো হয়েছে এফএআর ।
শহর পরিকল্পনাবিদরা আশঙ্কা করছেন, এতে জনসংখ্যার ঘনত্ব আরও বাড়বে, যানজট, জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামোগত চাপ মারাত্মক রূপ নেবে।
আলো-বাতাস চলাচলও বাধাগ্রস্ত হবে। তাদের মতে ডিএপি ২০২২ মূলত অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া নির্মাণ ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল, কিন্তু এই সংশোধনী সেই লক্ষ্যকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, রিহ্যাব ও রিয়েল এস্টেট সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো বলছে, কঠোর সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হচ্ছিল না, তাই এফএআর বাড়ানো জরুরি ছিল।
রাজউক জানিয়েছে, এই খসড়া এখন ডিএপি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলে যাবে অনুমোদনের জন্য। সংশোধিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর ডিএপি হালনাগাদ করার নিয়ম রাখা হয়েছে।
সংক্ষেপে, এই সিদ্ধান্ত ঢাকায় আরও উঁচু ভবন তৈরির পথ খুলে দিলেও, শহরের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞরা।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘FDI push: Reward for those who bring in foreign equity‘ অর্থাৎ, ‘এফডিআই চাপ: যারা বিদেশি ইকুইটি আনেন তাদের জন্য পুরষ্কার’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে সরকার নতুন একটি প্রণোদনা স্কিম চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই স্কিমের আওতায় যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক, দেশে বা প্রবাসে, যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে নতুন ইকুইটি আকারে অন্তত এক মিলিয়ন ডলার এনে দিতে পারে, তবে তিনি নগদ প্রণোদনা পাবেন।
প্রণোদনার হার হবে এক থেকে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত। এজন্য প্রাথমিকভাবে সাত দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হচ্ছে।
মূলত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতে যে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়, তার আদলে এ নীতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে এ সুবিধা শুধু নতুন ইকুইটি বিনিয়োগে প্রযোজ্য হবে, বিদ্যমান শেয়ার কেনা বা উৎপাদন বাড়ানোর মতো ক্ষেত্রে নয়।
বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা এখানে মূল ভূমিকা রাখবেন, তারা বিনিয়োগকারীদের আনতে পারলে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
তবে নীতিমালায় কঠোর শর্ত রাখা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বিনিয়োগকারীর সরাসরি সম্পর্ক থাকলে অন্তত দুই বছর আগে-পরে তিনি এ সুবিধা পাবেন না।
আবেদন অবশ্যই নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে। যাচাইয়ের কাজ করবে বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের প্রতিনিধিরা।
অনুমোদন মিললে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নগদ প্রণোদনা কিছুটা সহায়ক হতে পারে, তবে বিনিয়োগ বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি হলো সহজ ব্যবসা পরিবেশ তৈরি করা।
দ্রুত লাইসেন্স দেওয়া, কর ও শুল্ক জটিলতা দূর করা, বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং ব্যাংক খাতের অনিশ্চয়তা কমানো ছাড়া এ উদ্যোগ সফল নাও হতে পারে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে নেট এফডিআই কমে এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। তাই সরকার বিনিয়োগ বাড়াতে নতুনভাবে চেষ্টা করছে।