বাংলাদেশি ৫ জেলেকে পাঁচ দিনেও ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি

Google Alert – আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদের মোহনায় মাছ ধরার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ বাংলাদেশি পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এদিকে পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নাফ নদের মোহনা এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে তারা জিম্মি হন। 

 

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- মো. ইলিয়াস (৪১), আক্কল আলী (২০), নুর হোসেন (১৮), সাবের হোসেন (২২) ও মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)। তারা সবাই টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা।

 

জেলেদের পরিবারসূত্রে জানা যায়- ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ১ টি ছোট্ট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায় আমার স্বামী দুই ছেলে সহ ৫ জন। আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিড বোট যোগে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান পরিবার। তাদের ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। আমরা জেলে মানুষ, মাছ শিকারে যেতে না পারলে আমরা অনেক কষ্টে আছি। ছোট ছোট বাচ্চাদের ফিরে পেতে সহযোগিতা চাই জেলেদের পরিবার।

 

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের আরাকান আর্মিরা প্রায় সময় আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। যার কারণে ভয়ভীতি নিয়ে মাছ শিকারে যায় জেলেরা। অনেক সময় জেলেদের ধরে নিয়ে জাল মাছ ছিনতাই করে নেয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। 

 

জেলে পরিবারের দাবি, তাদের মিয়ানমারের  মংডু টাউনের একটি চৌকিতে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

 

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তথ্য নিয়ে আমি জানতে পারি, ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫ জেলে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। আমরা জেলেদেরকে বারবার নিষেধ করি তাদের সিমানায় না যাওয়ার জন্য। আমি এই সংবাদ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। তাঁদের ফেরত আনার জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। 

 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় কোস্ট গার্ড ও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার ও নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *