Independent Television
পাবনার আতাইকুলা থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চতরার বিলে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সোমবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে একটি রিভলবারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ ও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলো– পাবনা সদর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মোস্তফা আলীর ছেলে মনির হোসেন (৪০) ও একই উপজেলার খোদাইপুর গ্রামের দিরাজ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম (৪২)।
ওসি একেএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিল এলাকার সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালায় আতাইকুলা থানা পুলিশ। বিলের মধ্যে ঘাঁটি থেকে একটি রিভলবার, তিনটি গুলিসহ ওয়ানশুটারগান তৈরির ব্যাট, ব্যারেল, ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, ওয়েলডিং মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘আটককৃত দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি, চাঁদাবাজির ও বিল দখলের জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। তবে এর পেছনে বিল ইজারাদার ফজলু মূলহোতা ময়েজকে নিয়ে বড় নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছিল।’
স্থানীয়রা জানায়, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। এই ময়েজের নামে একাধিক অস্ত্র মামলা রয়েছে। অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে এবং আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। থানায় মামলা দায়ের করে আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।’