Independent Television
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কক্সবাজারের সংগঠক জিনিয়া শারমিনসহ ২০ জনকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে উখিয়া থানা পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে উখিয়ার ফলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তবে, অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে গত জুলাইয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ স্থানীয় শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে নামেন।
এর ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১১ টার দিকে সড়ক অবরোধ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগামী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার গাড়ি আটকে দিচ্ছিলো আন্দোলনকারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। পরে লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের উঠিয়ে দেয় পুলিশ।
এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন ও বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কক্সবাজারের সংগঠক জিনিয়া শারমিন, শিক্ষক প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম শামীমসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, ‘যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশের হামলার বিষয়টি নিন্দনীয়। আটককৃতদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে ছাত্রনেতাদের আটকের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা উখিয়া থানা ঘেরাও করে আন্দোলন করে। এসময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এই ঘটনার পর উখিয়া সদর এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
পরে এ ঘটনা নিয়ে বিকেল পাঁচটায় স্থানীয় বিভিন্ন দলের রাজনীতিবীদ, এনসিপি নেতাদের সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আটকদের ছেড়ে দেয় উখিয়া থানা পুলিশ। তবে, এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, চাকরি থেকে অব্যহতি পাওয়া শিক্ষকরা এর আগে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে, যাত্রী ও চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের দাবি, প্রশাসন সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।