নতুন ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিকল্পনা

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

দেশে নতুন করে আরও অন্তত ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির পরিকল্পনা করেছে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট সভাকক্ষে আয়োজিত ‘প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবায় মিডিয়ার অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিকল্পনা করেছিলাম, তখন হিসেব ছিল প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য অথবা ৩০ মিনিট হাঁটার দূরত্বের মধ্যে একটি ক্লিনিক থাকবে। কিন্তু দেশের বাস্তবতায় তা সব জায়গায় সম্ভব হয়নি। পাহাড়ি এলাকা, হাওর কিংবা চর অঞ্চলে কোনও কোনও জায়গায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষের জন্য একটি ক্লিনিক রয়েছে। ফলে সেখানকার কর্মীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই ঘাটতি পূরণেই আমরা নতুন করে কমিউনিটি ক্লিনিক বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

আক্তারুজ্জামান বলেন, আমাদের জন্য সুখবর হলো—জাইকা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে, সেই অর্থায়নে অন্তত ৫০০টি নতুন ক্লিনিক আমরা স্থাপন করতে পারবো।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদন নিচ্ছি। যারা জমি দিতে আগ্রহী, তারা যদি নোটারি করা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আন্ডারটেকিং দেন, আমরা তাদের আবেদন অগ্রাধিকার দিয়ে লিস্ট করছি। জমি পাওয়া গেলে দ্রুত সেই এলাকায় নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে। সব মিলিয়ে আমাদের সামনে একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ইতোমধ্যে ইডিসিএল থেকে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব ওষুধ সব কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে যাবে। আরও ২০০ কোটি টাকার ওষুধ দ্রুত কেনা হবে। 

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সরকারকেই বহন করা উচিত—এমন মত পোষণ করেন ৯২ শতাংশ মানুষ। আর ৯৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন করে ১৩ হাজার ৯৮৯ জনকে রাজস্ব বাজেট থেকে ৪২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *