ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে ১০ দেশ

Google Alert – সেনা

নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত ১০ দেশ। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে নতুন শান্তি কাঠামোর আওতায় তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে কিয়েভে সেনা পাঠানোর তালিকায় থাকছে না যুক্তরাষ্ট্রের নাম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার নির্ভরযোগ্য সুত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ। কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এক বৈঠকে কি পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হবে এবং তাদের অবস্থান কোথায় হবে তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের আশ্বাসের পর থেকে কিয়েভের নিরাপত্তা নিয়ে আরও নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপীয় নেতারা। এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের একটি চুক্তি হলে তারপর কীভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কেমন হতে পারে? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ অন্যরা চায় ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে। ‘আমি মনে করি না-এটি কোনো সমস্যা হতে যাচ্ছে।’ তবে যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না, তা জানিয়ে দেন তিনি। হোয়াইট হাউজে বৈঠক কেমন হয়েছে, জানতে চাইলে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের ‘ভালো মানুষ’ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তারা যুদ্ধ থামাতে চান। সংঘাতটা তাদের কাছাকাছি হচ্ছে। তাই বিষয়টি তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভিন্ন। যদিও ট্রাম্প সেনা সহায়তার কথা অস্বীকার করেন তবে আকাশপথে ইউক্রেনকে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে-কিয়েভকে ফাইটার জেট বা নোট ফ্লাইট জোন তৈরি করে সাহায্য করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, সীমান্তে নজরদারি ও অস্ত্র দিয়েও ইউক্রেনের পাশে থাকতে পারে দেশটি। অন্যদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও অন্য ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের পর ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়পক্ষের আইনপ্রণেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তাদের সবচেয়ে বড় চিন্তাটি হলো-পুতিন কি আসলেই শান্তি নাকি শুধু কালক্ষেপণ করছেন। ডেমোক্র্যাট সেনেটর জিন শাহিন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শান্তিপ্রিয় মনোভাবের প্রশংসা করেন কিন্তু পুতিনের যুদ্ধ থামার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অব্যাহত রাখা আবশ্যিক।’ তিনি আরও জানান, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনকে যথেষ্ট চাপ দিতে না পারেন, তাহলে কংগ্রেস নিষেধাজ্ঞা ও আইন প্রণয়নের পথে যেতে পারেন। কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স বলেন, পুতিন সত্যিকার শান্তিচুক্তি করতে চাইছে না। তার উদ্দেশ্য শুধু সময় অতিবাহিত করা। তাই ট্রাম্পের উচিত প্রভাবশালী ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *